কলকাতা, ২৮ নভেম্বর (হি. স.) : কয়লা পাচার কাণ্ডে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সিবিআই।শনিবার সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তল্লাশি শুরু করে।
কলকাতা সহ রাজ্যের ৩০টি জায়গায় তল্লাশি হয়। সিবিআই সূত্রের খবর, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপুরের পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ ও দুর্গাপুরের কোলিয়ারি এলাকাতেও তল্লাশি চালানো হয়। দেশের আরও দুই রাজ্যে ১০টি জায়গায় চলে তল্লাশি। সব মিলিয়ে ৩ রাজ্যের ৪০টি জায়গায় এদিন সকাল থেকে শুরু হয় অভিযান।সকালে নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই আধিকারিকদের কয়েকটি টিম বের হয়। সেই টিমের তরফেই এই তল্লাশি চালানো হয়। কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চলে।
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার কাণ্ডে আয়কর দফতরের পর তদন্তে নামে সিবিআই। আয়কর দফতরের তদন্তে কী কী তথ্য উঠে এসেছে, কী কী নথি প্রমাণ আয়করের হাতে এসেছে, তা বিশদে জানতে চেয়ে সিবিআই চিঠি দেয় আয়কর দফতরকে। চিঠিতে সিবিআই আয়কর দফতরের কাছে তদন্ত সংক্রান্ত ফাইল চেয়ে পাঠায়। সব মিলিয়ে কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে কোমর বেঁধে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও।
উল্লেখ্য, কয়লা পাচার কাণ্ডে অন্যতম পান্ডা লালা এখনও বেপাত্তা। এদিকে ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে ধৃত এনামুলের সঙ্গে অনুপ মাঝির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কথা। কলকাতায় শেক্সপিয়র সরণী-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অনুপ মাঝির বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। সেখান থেকে উদ্ধার হয় বহু কাগজপত্র। সেখানেই অনুপ-এনামুলের সম্পর্কের হদিস মেলে।
সূত্রের খবর, অনুপ মাঝি মুর্শিদাবাদ থেকে উত্তরবঙ্গে কয়লা পাচার করত। সেই কয়লার সেফ প্যাসেজের জন্য সে সাহায্য নিত এনামুল বাহিনীর। এনামুলের গাড়িতেই কয়লা পাচার হত। গত ১৭ নভেম্বর গরু পাচার কাণ্ডে বিএসএফ কম্যান্ডার সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করে তাঁকে জেরা করতেই সিবিআই আধিকারিকেরা এসব জানতে পারেন।
অন্যদিকে কলকাতা পুলিশের হাতে ধৃত চাটার্ড অ্যাকাউন্ট ফার্ম মালিক গোবিন্দ আগরওয়ালের সঙ্গেও যোগসূত্র মিলেছে এনামুল হক ও অনুপ মাঝির। ধৃত আগরওয়ালকে জেরা করে ও তাঁর সংস্থার নথি খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে যে এনামুল ও অনুপ মাঝির কালো টাকা সাদা করার কাজটি করতেন তিনি।