কলকাতা, ২৭নভেম্বর (হি. স.): গতকালই এইচআরবিসি চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, তবে কি মন্ত্রিত্ব ছাড়বেন শুভেন্দু অধিকারী! সেই সমস্ত জল্পনা সত্যি করে আজ মন্ত্রিসভা তথা সরকারের যাবতীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে বহু জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি বিজেপিতে যোগদান করবেন তিনি, নাকি নিজস্ব দল গঠন করবেন এই নেতা উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্য রাজনীতিতে সবথেকে আলোচিত ব্যক্তিত্ব। তাঁর একাধিক বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছিল যে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের মতভেদ তৈরি হয়েছে। এরপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন এই হেভিওয়েট নেতা, নাকি নিজস্ব রাজনৈতিক দল করবেন তিনি! এই নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছিল। এর মধ্যেই বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি বিগতদিনে একাধিক সভায় বলেছিলেন যে কোন পদের লোভ তার নেই। সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্যই রাজনীতি করেন তিনি। মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে বড় বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। এদিকে এই পদক্ষেপের পর শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠছে বড় প্রশ্ন।
এদিকে গত মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে কলকাতায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন তৃণমূলের প্রথম সারির তিন নেতা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর মত একজন নেতা তৃণমূল ত্যাগ করলে দলেরই ক্ষতি, এমনটাই মনে করছেন দলের অধিকাংশ। এমনকি পেশাদার ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী দলে থাকলে তৃণমূলের লাভ। কিন্তু এই আলোচনার পরেও পদত্যাগ করেছেন তিনি। তবে এখনও দলত্যাগ করেননি শুভেন্দু। কিন্তু তাঁর দলত্যাগও এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।