গুয়াহাটি, ২৫ নভেম্বর (হি.স.) : তরুণ গগৈ ব্যক্তি নন, ছিলেন আস্ত অসম। তাঁর সঙ্গে কথা বললে মনে হত যেন অসমের সাথে কথা বলছি। বুধবার শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্রে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের নশ্বর দেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে বলেছেন আবেগিক রাহল গান্ধী।
আজ সকাল ৯:৪০ মিনিটে গোয়া থেকে গুয়াহাটির বড়ঝাড়ে গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে সোজা শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্ৰে চলে যান সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। শংকরদেব কলাক্ষেত্ৰে গিয়ে প্ৰয়াত প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈয়ের শায়িত নশ্বরদেহে ফুলের তোড়া ও ধূপ প্রজ্বলন করে শ্ৰদ্ধাঞ্জলি জানান তিনি।
শ্রদ্ধাঞ্জলির পর উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে খনিকের বার্তালাপে তিনি গভীর শোক প্ৰকাশ করে বলেন, ‘গগৈজি আমার গুরু ছিলেন। আমি তাঁর শিষ্য। তাঁর সঙ্গে আমার অসংখ্যবার দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে। বহু কথাবর্তা হত। তিনি কেবল ব্যক্তি নন, ছিলেন একজন আস্ত অসম। কথা বললে মনে হত যেন আস্ত অসমের সঙ্গে কথা বলছি ’ তিনি বলেন, মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বহু শিষ্যকে রাজনীতির পাঠ দিয়ে গেছেন তরুণ গগৈ। তাই অসমে কখনও কংগ্ৰেসের খারাপ দিন আসবে না, বলেন রাহুল।
শংকরদেব কলাক্ষেত্র থেকে রাহুল গান্ধী গৌরব গগৈকে সঙ্গে নিয়ে যান প্রয়াত তরুণ গগৈয়ের সরকারি বাসভবনে। সেখানে তিনি প্রয়াতের পত্নী ডলি গগৈয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। স্বামী তরুণ গগৈ প্রয়াত হওয়ার পর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন পত্নী ডলি। তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়ে গভীর সমবেদনা জানিয়ে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেছেন গান্ধী। সেখান থেকে প্রায় দু-ঘণ্টা পর রাহুল গান্ধী ফের দিল্লির উদ্দেশ্যে বিমানে চড়ে রওয়ানা হয়েছেন।