রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন সর্বনাশ ডেকে এনেছে : মানিক সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ নভেম্বর৷৷ ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে বামেদের ঝড়ো প্রচার চলছে৷ শহরে মঙ্গলবার শক্তির মহড়া দিল সিট্যু৷ অফিসলেন স্থিত সিট্যু কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে এদিন মিছিল শুরু হয়৷ মিছিলটি বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ওরিয়েন্ট চৌমুহনি এলাকায় জমায়েতে সামিল হয়েছে৷ এই পর্বে বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার৷


তিনি তার দীর্ঘ ভাষণে বলেন বর্তমান দেশের যে পরিস্থিতি এবং রাজ্যের যে পরিস্থিতি সেই পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষ সর্বোপরি কৃষক থেকে শুরু করে শ্রমিকরা সমস্যার মধ্যে রয়েছেন৷ তাদের সমস্যার সমাধানে রাজ্য কিংবা কেন্দ্রীয় সরকার কোন ভূমিকা পালন করছে না৷ এই বিষয়গুলো উল্লেখ করে তিনি বলেন এই রাজ্যের ক্ষেত্রেও সমস্যা সমস্যাই থেকে যাচ্ছে৷ সমাধানের কোন উদ্যোগ নেই৷ ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি ডাবল ইঞ্জিনের কথা বলেছে৷ এখন ডাবল ইঞ্জিন সর্বনাশ ডেকে এনেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে দলের বিধায়করাই মুখ খুলতে শুরু করেছেন৷ মানিক সরকারের দাবি যে কথাগুলো এতদিন বিরোধীরা বললে শাসক দলের নেতারা বলতেন বিরোধীরা ঈর্ষা করছে তাই এমন কথা বলতে পারে৷


এখন দলের বিধায়করাই বলতে শুরু করেছেন শাসক দল এক্ষেত্রে কিছু বলছে না বলে দাবি করে মানিক সরকার বলেন তাদের কাছে বলারও কোন শব্দ নেই৷ চলমান পরিস্থিতি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং সামগ্রিক বিষয়গুলো নিয়ে এদিন রীতিমত বিজেপির দিকে নিশানা করে আক্রমণ তেজি করেছেন বিরোধী দলনেতা৷ তিনি বলেন মানুষ বলতে শুরু করেছে৷ যে ধর্মঘটের আহ্বান করা হয়েছে সেই ধর্মঘটে সামিল হবেন৷ মানিক সরকারের দাবি তারা কখনোই পিকেটিং করবে না৷ আন্দোলনে অংশগ্রহণে তারা বরাবরই ভূমিকা পালন করছে৷ যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তারজন্য তিনি বর্তমান সরকার এবং তার পরিচালিত রাজনৈতিক দল বিজেপিকে দায়ী করেন৷


বিধানসভা নির্বাচনের আগে যারা ডাবল ইঞ্জিনের কথা বলছিল৷ তারাই এখন দেখতে পারছে ডাবল ইঞ্জিন সর্বনাশ ডেকে এনেছে৷ মানিক সরকার ছাড়াও এদিনের আয়োজনে মানিক দে, পবিত্র কর সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রেখেছেন৷ বনধকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার কর্মসূচি জারি রাখা হয়েছে৷ গোটা বিষয়টি নিয়ে এ সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক চর্চাও চলছে৷ সামনে এডিসি এবং পুর সংস্থাগুলোর নির্বাচন৷ এই নির্বাচনের আগে এই বনধকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক শক্তির মহড়াও দেওয়া হচ্ছে৷ বনধকে কেন্দ্র করে শাসক দল এবং তার বিভিন্ন সংগঠন প্রচারে মাঠে নামলেও এই বনধ যে রাজনৈতিক শক্তিতে বার্তা দিতে চলেছে সেই বিষয়টিও সামনে চলে এসেছে৷ শাসক দল বনধের বিরোধীতায় প্রচারে মাঠে নেমেছে৷
বাস্তবিক বিষয়গুলো নিয়ে দলমত নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষকে জড়ো করে এই বনধ সর্বাত্মক সফল করার প্রচেষ্টা জারি রেখেছে বামেরা৷ বনধকে কেন্দ্র করে শাসকদলের তরফেও পাল্টা প্রচার চলছে৷