আগরতলা, ২১ নভেম্বর (হি.স.)৷৷ আজ শনিবার ভোরে কলকাতায় চিকিৎসারত ত্রিপুরার অ্যাডভোকেট জেনারেল অরুণকান্তি ভৌমিক প্রয়াত হয়েছেন৷ তাঁর প্রয়াণে ত্রিপুরায় বিভিন্ন মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ প্রথিতযশা আইনজীবীর পাশাপাশি তিনি দক্ষ রাজনীতিবিদও ছিলেন৷ পেশাগত দায়িত্ব পালনে তিনি সাফল্য অর্জনের সাথে তাঁর রাজনৈতিক জীবন খুবই বর্ণময় ছিল৷ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য, এমন-কি বিরোধী রাজনৈতিক দলের তরফেও শোক ব্যক্ত করা হয়েছে৷
গত কিছুদিন ধরে কঠিন রোগে ভুগছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল অরুণকান্তি ভৌমিক৷ গতকাল তাঁর শারীরিক অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি হওয়ায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছিল৷ কিন্তু, চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে আজ ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি প্রয়াত হয়েছেন৷ তাঁর মৃত্যুর খবর ত্রিপুরায় পৌঁছতেই রাজনৈতিক থেকে শুরু করে আইনজীবী মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷
তাঁর প্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব টুইট বার্তায় বলেন, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং অত্যন্ত সুহৃদয় ব্যক্তি অরুণকান্তি ভৌমিকের প্রয়াণে আমি অত্যন্ত ব্যথিত৷ ঈশ্বরের কাছে তাঁর আত্মার সদগতি কামনা করি৷ এই কষ্টদায়ক মুহূর্তে ভগবান তাঁর পরিবারকে দুঃখ সহ্য করার শক্তি প্রদান করুন৷ সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল অরুণকান্তি ভৌমিকের প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত৷ রাজ্য এক নিষ্ঠাবান, সৎ পরোপকারী মানুষকে হারালো৷ চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে আজ ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷ স্মৃতি মনে করে তিনি বলেন, এই-তো সেদিন অরুণবাবুর অসুস্থতার খবরে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলাম৷ ১৯ নভেম্বর তাঁর সাথে শেষ দেখা হয়েছে৷ এত অসুস্থতার মধ্যেও প্রাণচঞ্চল মানুষটির মুখে সেই হাসি, সুস্থ হয়ে আবারও পুরো উদ্যমে কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর৷
প্রতিমা ভৌমিক বলেন, ষাটের দশক থেকে আইনি পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি৷ সদাহাস্য এই মানুষটি নিজগুণে জায়গা করে নিয়েছিলেন সবার মনে৷ সর্বজন শ্রদ্ধেয় অরুণদা বড়জলা কেন্দ্র থেকে বিধায়কও নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ ত্রিপুরা বার অ্যাসোসিয়েশন ও হাইকোর্ট বারের সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি৷ প্রতিমা ভৌমিক জানান, ২০১৮ সালে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন অরুণকান্তি ভৌমিক৷ ভারতীয় জনতা পার্টির একজন নিষ্ঠাবান সৈনিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব সামলেছেন৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক উত্তাপেও মাথা ঠাণ্ডা রেখে দলের স্বার্থে কাজ করে গেছেন এবং সঠিক দিশা দেখিয়েছেন৷ নিজ গুণেই সবার হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন চিরকাল, অতীতের স্মৃতি মনে করে বলেন ত্রিপুরার সাংসদ৷ তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি৷ ঈশ্বর তাঁদের এই শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি দিন, প্রার্থনা করে বলেন তিনি৷ত্রিপুরার উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মাও অ্যাডভোকেট জেনারেলের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন৷ শোক জানিয়েছেন, শিক্ষা তথা আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ৷

