ব্রু শরণার্থী পুনর্বাসনের বিরোধিতায় কাঞ্চনপুর মহকুমায় আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

কাঞ্চনপুর, ১৫ নভেম্বর (হি.স.)৷৷ কাঞ্চনপুর মহকুমায় ব্রু শরণার্থী পুনর্বাসনে ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি খেলাপের অভিযোগ এনে ১৬ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি৷ রবিবার সন্ধ্যায় জম্পুই পাহাড়ে আষোজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করেছেন কমিটির পদাধিকারীরা৷


এ-বিষয়ে নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চ-এর সভাপতি রঞ্জিত নাথ বলেন, ত্রিপুরা সরকার ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ সারা ত্রিপুরায় তাঁদের পুনর্বাসনের ঘোষণা করা হয়েছিল৷ কিন্তু, সমস্ত ব্রু শরণার্থীদের শুধু কাঞ্চনপুর মহকুমায় পুনর্বাসনের প্রস্তুতি চলছে৷ তাঁর দাবি, প্রশাসনিক বৈঠকে ১,৫০০ ব্রু শরণার্থীকে কাঞ্চনপুর মহকুমায় পুনর্বাসনের বিষয়ে জানানো হয়েছিল৷ তাতে আমরা তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলাম এবং ৫০০ পরিবার কাঞ্চনপুর মহকুমায় পুনর্বাসনের জন্য সম্মতি দিয়েছিলাম৷ কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ৫,০০০ ব্রু শরণার্থী পরিবারকে কাঞ্চনপুর মহকুমায় পুনর্বাসনের প্রস্তুতি চলছে৷


তিনি বলেন, ইতিমধ্যে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ, পানীয় জল এবং স্বাস্থ্যবিধান দফতর দরপত্র আহ্বান করেছে৷ দরপত্র জমা দেওয়ার অন্তিম তারিখ ১৯ নভেম্বর নির্ধারিত হয়েছে৷ তাতে স্পষ্ট, ত্রিপুরা সরকার প্রতিশ্রুতি খেলাপ করে কাঞ্চনপুর মহকুমাতেই ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসন দিতে চাইছে৷ নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চ-এর সভাপতি জানান, কাঞ্চনপুর মহকুমার মনু-ছৈলেংটা, গছিরামপাড়া, আনন্দবাজার, পুষ্পরামপাড়া, ভান্ডারিমা, নন্দিরাম এবং বিক্রমজয় পাড়ায় তাঁদের পুনর্বাসনে স্থান চিহ্ণিত করা হয়েছে৷ তাই কাঞ্চনপুরবাসীর স্বার্থ রক্ষায় আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বলেন তিনি৷

রঞ্জিত নাথের দাবি, এখন এ-বিষয়ে প্রশাসনের সাথে কোনও আলোচনায় আগ্রহী নই আমরা৷ কারণ, আগামীকাল আগরতলায় পুনর্বাসন ইস্যুতে বৈঠক হবে৷ তাই, জেলাশাসক আধিকারিক পাঠিয়েছিলেন৷ কিন্তু, মুখ্যসচিব কিংবা মুখ্যমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানালে তবেই আমরা আলোচনায় রাজি৷ তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে বাজার-হাট, দোকানপাট, যানবাহন চলাচল, সুকল-কলেজ, অফিস- আদালত সমস্ত কিছু বন্ধ থাকবে৷ জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি কাঞ্চনপুর মহকুমাবাসীর কাছে ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানিয়েছে৷