আগরতলা, ১২ নভেম্বর (হি. স.) : আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনায় ত্রিপুরায় ৮২ সুবিধাভােগী প্রকল্পের ই-কার্ড পেয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে ৭৫ হাজার সুবিধাভোগী এই প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা পেয়েছেন৷
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জনআরােগ্য যােজনা ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্ঢেম্বর ২০১৮ উদ্বোধন করেছিলেন৷ একই দিনে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব রাজ্যে এই যােজনার শুভ সূচনা করেছিলেন৷ আয়ুষ্মন ভারত প্রধানমন্ত্রী জনআরােগ্য যােজনায় রাজ্যের সুবিধা লাভে উপযুক্ত পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য পরিবার পিছু বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেস পরিষেবার সুবিধা রয়েছে৷ ত্রিপুরার প্রায় ৫ লক্ষ পরিবার প্রধানমন্ত্রী জনআরােগ্য যােজনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে৷ এই প্রকল্পের পরিষেবার জন্য ই-কার্ড রাজ্যের সমস্ত তালিকাভুক্ত হাসপাতাল অথবা কমন সার্ভিস সেন্টারগুলিতে করিয়ে নেওয়া যায়৷
এর জন্য রাজ্যের নির্বাচিত পরিবারগুলােকে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি, রেশন কার্ড, আধারকার্ড এবং পূর্বের সচল (২০১৬ বা তার পর ইস্যু করা) আরএসবিওয়াই কার্ড দেখিয়ে এই প্রকল্পের ই-কার্ড ইস্যু করিয়ে নিতে হবে৷ এছাড়া, শিশুর জন্মের পর বার্থ সার্টিফিকেট দেখিয়ে এবং বিবাহ সূত্রে নতুন সদস্য পরিবারে যােগ হলে বিবাহ প্রমাণ পত্র দেখিয়ে প্রকল্পের ই-কার্ড ইস্যু করিয়ে নিতে হবে৷ প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা ই-কার্ড ইস্যু করা হচ্ছে৷
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর জানিয়েছে, ত্রিপুরায় ও বহিঃরাজ্যের বিভিন্ন তালিকাভুক্ত হাসপাতালে প্রকল্পের সুবিধা উপলব্ধ রয়েছে৷ এই প্রকল্পে পরিবারের সদস্য সংখ্যা, লিঙ্গ অথবা বয়সের কোন সীমা নেই৷ এই কর্মসূচিতে রাজ্যের ৮৮টি সরকারি হাসপাতাল এবং ২টি বেসরকারি হাসপাতালকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে৷ এই প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী জনআরােগ্য যােজনা অন্তর্ভুক্ত রাজ্যের ও বহিঃরাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে পরিষেবা গ্রহণ করার সুযােগ রয়েছে৷ এছাড়া সুবিধাভােগীরা ১৫৭৩টি চিকিৎসাজনিত এবং অস্ত্রোপচারজনিত প্যাকেজের সুবিধা পাওয়ার যােগ্য৷ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে টোল ফ্রি হেল্পলাইন ১৪৫৫৫ (ন্যাশনাল) / ১৮০০৩৪৫৩৭৯৭ (ত্রিপুরা) নম্বর-এ যে কোনও সময় যােগাযােগ করা যাবে বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে৷
স্বাস্থ্য দফতর ৯ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত এই প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরেছে৷ দফতর জানিয়েছে, প্রকল্পের শুরু থেকে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের তালিকাভুক্ত হাসপাতাল এবং কমন সার্ভিস সেন্টার থেকে ১১,৪৪,৫৬১টি গােল্ডেন কার্ড বা ই-কার্ড ইস্যু করা হয়েছে৷ ত্রিপুরায় ৮২ সুবিধাভােগী প্রকল্পের ই-কার্ড পেয়েছেন৷ ইতিমধ্যে ৭৫,৩০৫ জন সুবিধাভােগী এই প্রকল্পে চিকিৎসিত হয়েছেন এবং এর মধ্যে মােট ৩৩৮ জন বহিঃরাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে পরিষেবা পেয়েছেন৷ দফতর জানিয়েছে, এই প্রকল্পে প্রায় ৩৩ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার দাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে৷
এছাড়া সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার বুনিয়াদি শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে৷ করোনার জন্য সুকলগুলি বন্ধ রয়েছে৷ বিগত সরকারের সময় প্রি-প্রাইমারি সুকল ছিলো ৯টি৷ বর্তমান সরকারের আমলে বেড়ে হয়েছে ৮৮টি৷ ৮৮টিতে ছাত্রছাত্রী রয়েছে ৩,১৩৫ জন৷ তাদের প্রত্যেককে ছবি আঁকার জন্য ৪০০ টাকা মূল্যের কিট বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে৷ এতে শিক্ষা দপ্তরের মোট ব্যয় হবে ১২ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা৷ তিনি জানান, করোনার কারণে এখন মিড ডে মিল বন্ধ৷ গতমাস পর্যন্ত প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ অক্টোবর মাস থেকে তাদের বাড়িতে চাল ও ডাল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে৷ এখন সব্জির সাথে মাশরুম দেওয়া হবে৷ এটা পাইলট প্রজেক্ট৷ রাজ্য সরকার এই প্রজেক্ট সর্বপ্রথমে উদয়পুরের জামজরি সুকলে বাস্তবায়ন করবে৷ এই সুকলে ছাত্রছাত্রী রয়েছে ৭১২ জন৷

