নয়াদিল্লি, ২৬ অক্টোবর (হি.স.): ঝাড়খন্ড কয়লা দুর্নীতি মামলায় ৩ বছরের জেল হল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দিলীপ রায়ের। দিলীপ ছাড়াও আরও দু’জনকে ৩ বছরের জেলের সাজা দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৯ সালের ঝাড়খন্ড কয়লা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দিলীপ রায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল। সেই তদন্তের বিচারে দিলীপ দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। সোমবার তাঁকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালত। অন্যান্য বিভিন্ন ধারার পাশাপাশিই দিলীপকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। সোমবার দিলীপের জন্য কারাদণ্ড ঘোষণা করতে গিয়ে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক ভর্তি পরাশর জানিয়েছেন, মন্ত্রী থাকাকালীন দিলীপ বেআইনি এবং অসৎ ভাবে বেসরকারি এবং পরিত্যক্ত কয়লাখনি এলাকা একটি বিশেষ সংস্থাকে পাইয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে ব্রহ্মডিহা কয়লা ব্লক বন্টনে ওই ব্যাপক অনিয়ম এবং দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছিল। এদিন দোষী সাব্যস্ত সকলেই সশরীরে আদালতে হাজির ছিলেন।
১৯৯৯ সালে ঝাড়খন্ডে কয়লা ব্লক বন্টনের একটি মামলায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল দিলীপ রায়-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। তৎকালীন এনডিএ সরকার ওই অভিযোগের তদন্তভার দিয়েছিল সিবিআই-কে। সিবিআই তদন্তে নেমে ওই দুর্নীতিতে তৎকালীন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দিলীপের যোগসাজশ খুঁজে পায়। দিলীপকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। বাদী এবং বিবাদী পক্ষের তরফে দীর্ঘ শুনানির পর দিলীপ-সহ ৩ জন ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। দিল্লির একটি আদালত চলতি মাসের শুরুতে জানিয়েছিল, ২৬ অক্টোবর এই মামলার শাস্তি ঘোষণা করবে। রায়দানের সময় দোষীদেরও আদালতে হাজির থাকতে হবে। সেই মতোই এদিন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই ওই আদালত তাঁকে ৩ বছর কারাদণ্ডের শাস্তি দিয়েছে। অর্থাৎ, ২০২৩ সাল পর্যন্ত দিলীপকে জেল হাজতে থাকতে হবে। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমলে দিলীপ ছিলেন কয়লা দফতরের প্রতিমন্ত্রী।
সাজা ঘোষণার পাশাপাশি এদিন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দিলীপ রায় এবং আরও দু’জনকে জামিনও প্রদান করেছে বিশেষ সিবিআই আদালত। ১ লক্ষ টাকার পৃথক ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের জামিন প্রদান করেছে আদালত। একইসঙ্গে হাইকোর্টে আবেদন জানানো জন্য তাঁদের ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে আদালত।