হাথরাস (উত্তর প্রদেশ), ৩০ সেপ্টেম্বর (হি.স.): জোরজবরদস্তি, তড়িঘড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হল উত্তর প্রদেশের হাথরাসে ধর্ষিতা তরুণীকে। পরিবারের ইচ্ছে ছিল, মেয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে বুধবার সকালে। কিন্তু, দিল্লির হাসপাতাল থেকে ধর্ষিতা তরুণীর দেহ আসার কিছুক্ষনের মধ্যেই দাহ করা হয় ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণীর দেহ। উত্তর প্রদেশ পুলিশই রাতারাতি পুড়িয়ে দিয়েছে ওই নির্যাতিতার দেহ। কিন্তু, কেন? উঠছে বহু প্রশ্ন। বিচার চাইছে মেয়ে হারানো অসহায় পরিবার। দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর মঙ্গলবার ভোররাতে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় গণ-ধর্ষিতা ওই তরুণীর।
মঙ্গলবার রাতে দিল্লির হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এসে পৌঁছয় ওই নির্যাতিতার দেহ। পরিবারের ইচ্ছে তো কর্নপাত করেনি উত্তর প্রদেশ পুলিশ। রাতারাতি দাহ করা হয় ওই নির্যাতিতার দেহ। নির্যাতিতার ভাই জানিয়েছেন, ‘তাঁরা (পুলিশ) নিজেরাই এমনটা করেছে। আমরা ভীত। শ্মশানে দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ আমাদের জোর করেছে। আমরা বলেছিলাম সকালে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে। আমাদের কথা শোনা হয়নি।’ নির্যাতিতার ভাই আরও জানিয়েছেন, ‘রাজ্য সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি, এই বিষয়ের যেন তদন্ত হয় এবং দোষীদের যেন শাস্তি দেওয়া হয়। আমরা নিরাপত্তাও চাইছি। প্রশাসন আমাদের রীতিমতো চাপের মধ্যেই রেখেছে। স্থানীয় পুলিশকে আমরা বিশ্বাস করি না।’ মঙ্গলবার রাতে নির্যাতিতার দেহ হাথরসের বাড়িতে পৌঁছলে, মোয়েটির পরিবারের লোকজন, আত্মীয়-স্বজন এবং গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত মেয়েকে দাহ করবেন না বলে জানিয়ে দেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, মাঝরাতে মেয়েটির বাড়িতে এসে পৌঁছয় পুলিশ। রাতেই দাহ করতে হবে বলে চাপ সৃষ্টি করে মেয়েটির পরিবারের উপর। ফলে নিরুপায় ছিলেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা।
হাথরাস গণ-ধর্ষণ মামলার তদন্তের জন্য তিন-সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আগামী ৭ দিনের মধ্যে ওই তদন্তকারী দলকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে এই মামলার ট্রায়াল চলার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।