নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ সেপ্ঢেম্বর৷৷ রবিবার সকাল প্রায় ১১টা নাগাদ অসম-ত্রিপুরা ৮ নম্বর জাতীয় সড়কের অগ্ণিপাশা বালকমণি সুকল সংলগ্ণ এলাকায় সংঘটিত এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে৷ নিহতকে স্থানীয় চার নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত জনৈক সুরেন্দ্র দাসের বছর ৬৫-এর ছেলে সুমন্ত দাস বলে পরিচয় পাওয়া গেছে৷
জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও সুমন্ত দাস তাঁর গরু নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন৷ এমন সময় গুয়াহাটি থেকে ওষুধ বোঝাই আগরতলাগামী টিআর ০১ সি ১৮৭৮ নম্বরের ছয় চাকার একটি ট্রাকের নীচে পড়ে যান সুমন্ত৷ ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান গৃহস্থ সুমন্ত দাস৷ এদিকে তাঁর গরুর পিছনের বা পা-ও থেঁতলে গেছে৷ প্রত্যক্ষদর্শী পথচলতি মানুষজন চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন৷ জড়ো হয়ে যান লোকজন৷ খবর পাঠানো হয় পানিসাগর ফায়ার সার্ভিসে৷
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসেন৷ আসে পানিসাগর থানার পুলিশও৷ জাতীয় সড়ক সংলগ্ণ বাড়ি থেকে ছুটে আসে নিহত সুমন্ত দাসের ছেলে জীবন্ত ও অন্যরা৷ সুমন্ত দাসের মর্মান্তিক মৃত্যুর দৃশ্য দেখে তাঁরা চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন৷ এদিকে ঘাতক ট্রাক সহ তার চালক নিখিল সুত্রধর (৪৫)-কে আটক করেছে পুলিশ৷ নিখিলের বাড়ি আগরতলার খয়েরপুরে৷ ট্রাক চালক ও ওষুধ বোঝাই ট্রাকটি পানিসাগর থানার হেফাজতে আছে৷
অপরদিকে নিহত সুমন্ত দাসের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পানিসাগর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে৷ ময়না তদন্তের পর আজ সন্ধ্যার দিকে মৃতদেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে৷
কুমারঘাট থানা এলাকার সোনাইমুড়ীতে বাইক ও অটোর সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন৷আহতদের মধ্যে দু’’জনের অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় স্থানীয় হাসপাতাল থেকে কৈলাশহর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে৷ঘটনার বিবরণে জানা যায় সাদা বাড়ি থেকে সোনাইমুড়ী যাওয়ার পথে একটি বাইকে অপর একটি অটো ধাক্কা দেয়৷ বাক নেওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে৷অটোর ধাক্কায় বাইক থেকে ছিটকে পড়ে বাইকের চালকসহ তিনজন গুরুতর ভাবে আহত হন৷দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান৷ সেখান থেকে দু জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়৷ পুলিশ এ ব্যাপারে একটি মামলা গ্রহণ করে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ চালকদের অসাবধানতার কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে৷

