BRAKING NEWS

রাজপথ থেকে সামাজিক মাধ্যম সর্বত্র কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার কংগ্রেস

নয়াদিল্লি, ২৮ সেপ্টেম্বর (হি. স.): কৃষি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন আইন নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকেরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। এই বিক্ষোভের ব্যাপ্তি সবথেকে বেশি উত্তর ভারতের দিল্লি, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশ রাজ্যের পশ্চিম দিকের কয়েকটি জেলাগুলিতে। কৃষকদের এই বিক্ষোভ থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতারা কৃষকদের হয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। কৃষকদের এই বিক্ষোভে সামিল হয়ে কংগ্রেস সোমবার দিল্লির রাজপথে আস্ত একটা ট্রাক্টর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে।


রাস্তায় নামার পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে নতুন কৃষি আইনের বিপক্ষে সোচ্চার হয়ে প্রচার চালাচ্ছে কংগ্রেস। সামাজিক মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ কিষান মজদুর ন্যায় মার্চ দিয়ে এই নতুন আইনের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে কংগ্রেস।


শতাব্দী প্রাচীন এই দলটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এই কালা আইন দিয়ে দেশের কৃষকদের ওপর প্রহার করা হচ্ছে। কৃষি বিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কৃষকদের প্রতারিত করেছে বিজেপি। কৃষক বিরোধী, শ্রমিক বিরোধী, জনতা বিরোধী বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এককাট্টা গোটা ভারত। বিক্ষোভরত কৃষকদের গ্রেফতার করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে স্বৈরাচারী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার এবং হরিয়ানার খট্টর সরকার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনের অধিকার খর্ব করে সংবিধান বিরোধী কাজ করছে।


কংগ্রেস নেতা সুনীল জাখর জানিয়েছেন, এই কালা আইনের জন্য কৃষকদের আত্মহত্যা বাড়বে। কৃষকরা যাতে ঠিকা শ্রমিকে পরিণত না হয় তা রোখা দরকার। কৃষকদেরকে কৃষিকাজ করতে দেওয়া হোক। ফসল ক্রয় করা থেকে শুরু করে ফসলের দাম নির্ধারণ করার দায়িত্ব সরকারের। মান্ডি গুলিকে বন্ধ করে বিজেপি সরকার সাহুকারদের বাড়বাড়ন্ত বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে।
হরিয়ানা প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী কুমারী শৈলজা জানিয়েছেন, কৃষি কল্যাণ এর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকার যখন নিজের দায়িত্ব থেকে পিছু হটে তখন কৃষি ক্ষেত্র অবলুপ্ত হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে যায়। বিজেপির নতুন নীতির ফলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য শেষ হয়ে যাবে।


এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট করে জানিয়ে ছিলেন যে ভারতের শক্তিশালী কৃষকরাই দেশকে আত্মনির্ভরে পরিণত করতে পারে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *