নয়াদিল্লি, ২৬ সেপ্টেম্বর (হি. স.): সীমান্তে চিনা সেনাবাহিনী-র চোখে চোখ রেখে প্রহরা দিয়ে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। যদি কোনো শক্তিই ভারতের দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকায় তবে তার বিরুদ্ধে যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা আত্মনির্ভরতার এক শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। ভারতীয় বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিবিদ্যারা দেখিয়ে দিয়েছে যে জটিল থেকে জটিলতর বিষয় সমাধান করতে সক্ষম আমরা বলে দাবি করেছেন রাজনাথ সিং।
শনিবার দিন দীনদয়াল স্মৃতি ব্যাখ্যান ২০২০ অন্তর্গত আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্প শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, দীনদয়াল উপাধ্যায় মনে করতেন রণনীতি নীতি গ্রহণ করা ব্যতীত অর্থনীতি অক্ষম হয়ে পড়ে। প্রতিরক্ষার প্রতি গাফিলতি দেখিয়ে কোন দেশ আত্মনির্ভর হতে পারবে না। ১৯৯৮ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন পরমাণু বোমা পরীক্ষা করেছিলেন তখন তার লক্ষ্য কোন দেশের ওপর আক্রমণ করা ছিল না। তার মূল লক্ষ্য ছিল ভারতের শক্তিকে বৃদ্ধি করা। এর জেরেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে আত্মরক্ষার বিশ্বাস জন্মেছে। ১৯৬৪ সালে চিন যখন পরমাণু বোমা পরিক্ষা করে দেখল। সেই সময় দীনদয়াল উপাধ্যায় বলেছিলেন যে ভারতের পরমাণু শক্তি বিকশিত করা প্রয়োজন। আগামী দশ বছরে জল, স্থল এবং মহাকাশে ভারত নিজের প্রতিরক্ষা ব্যক্তিকে অনেক বেশি বিকশিত করে তুলতে পারবে। যে পণ্য খুব সহজেই ভারতের মধ্যে তৈরি হতে পারে তাকে বিদেশ থেকে নিয়ে আসার কোন দরকার নেই। ২০২৪ – ২৫ সালের মধ্যেই ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে। একইসাথে ভারত পাঁচ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র রফতানিও করতে সক্ষম হয়ে পড়বে।