কলকাতা, ২৬ সেপ্টেম্বর (হি স)। শেষ পর্যন্ত মুকুল রায়কে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে নিয়োগ করা হল। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহর নির্দেশক্রমে বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা এই ঘোষণা করেছেন।
২০১৭ সালে দুর্গাপুজোর ঠিক আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল বাবু। সেই সময়ে তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদও ছিলেন। কিন্তু তৃণমূল ছাড়ার পাশাপাশি রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। এর মাঝে তাঁকে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সভাপতি করা হয়েছে। লোকসভা ভোটে দলের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়কও করা হয়েছে। কিন্তু সংগঠনে কোনও পদ পাননি তিনি। ফলে তাঁর অনুগামীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ দেখা দিচ্ছিল।
অমিত শাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হওয়ার পর গত বছর বিজেপি সভাপতি পদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন জে পি নাড্ডা। তার পর বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন হয়। কিন্তু নতুন কমিটি গঠন বকেয়া ছিল। বেশ কিছুদিন আগেই নয়া কমিটি ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ায় তা আরও পিছিয়ে যায়। অবশেষে সেই কমিটি এদিন ঘোষণা করেছেন বিজেপি সভাপতি।
নতুন কমিটিতে মোট ১২ জন প্রবীণ নেতা নেত্রীকে সর্বভারতীয় বিজেপির সহ সভাপতি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন মুকুল রায়।আবার তাৎপর্যপূর্ণ ভাবেই সর্বভারতীয় কমিটি থেকে বাদ পড়েছে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা। এর আগে রাহুল সিনহা সর্বভারতীয় সম্পাদক ছিলেন। তাঁর পরিবর্তে বাংলা থেকে সর্বভারতীয় সম্পাদক হয়েছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা।
বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিলমোহর না পাওয়ায় তৃণমূলের মধ্যে থেকে অনেকে মুকুলবাবুর উদ্দেশে তীর্যক মন্তব্য করতে শুরু করেছিলেন। রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীও তাঁকে কোণঠাসা করে রাখার চেষ্টা করছিল। কিন্তু আজকের ঘোষণায় মুকুলবাবু স্বীকৃতি পেলেন বলে মনে করছেন তাঁর অনুগামীরা।