চন্ডীগড় ও নয়াদিল্লি, ২৫ সেপ্টেম্বর (হি.স.): কৃষি বিল নিয়ে কৃষকদের ক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কৃষি বিলের প্রতিবাদে ডাকা ‘ভারত বনধ’-এর মিশ্র প্রভাব পড়েছে। তবে, পঞ্জাব ও হরিয়ানায় ‘ভারত বনধ’-এর প্রভাব ভালোই ছিল। পঞ্জাবের ১২৫টি স্থানে শুক্রবার প্রতিবাদ-বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কৃষকরা। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে। প্রধান প্রধান হাইওয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন প্রতিবাদী কৃষকরা। হরিয়ানায় রাস্তায় নেমে কৃষি বিলের প্রতিবাদ করেন কৃষকরা। অবরুদ্ধ করা হয় ব্যস্ততম চন্ডীগড়-আম্বালা হাইওয়ে। এছাড়াও কার্নাল-মেরঠ রোড অবরুদ্ধ করেন কৃষকরা।
দেশের কৃষক সংগঠনগুলি মিলিত ভাবে শুক্রবার ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছিল। কংগ্রেস-সহ দেশের অধিকাংশ বিরোধী দল নীতিগত সমর্থন জানিয়েছে এই বন্ধে। পঞ্জাব ও হরিয়ানার বিভিন্ন জায়গা ছাড়াও কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, বিহারেও চলতে থাকে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। কোথাও রাস্তা আটকে, কোথাও ‘রেল রোকো’ অভিযানের মাধ্যমে এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান কৃষকরা। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সে জন্য প্রচুর পুলিশও মোতায়েন করা হয়।
পঞ্জাব ও হরিয়ানাতে এই বন্ধের প্রভাব সবথেকে বেশি। অমৃতসর, জালন্ধর, লুধিয়ানা, অম্বালা সর্বত্রই বনধ সমর্থকরা রাস্তায় নেমে পড়েন। চণ্ডীগড়-সহ সেখানকার বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করে বিভিন্ন কৃষক সংগঠনগুলি। জালন্ধরের কাছে সকাল থেকেই অমৃতসর-দিল্লি জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন ও রেভোলিউশনারি মার্ক্সিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া। অম্বালাতে বিক্ষোভের জেরে বন্ধ রয়েছে দিল্লি-চণ্ডীগড় বাস পরিষেবা। লুধিয়ানার চিত্রটাও একই রকম ছিল।
কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিহারের রাস্তায় নামেন লালু প্রসাদ যাদবের দুই ছেলে। কৃষকদের নিয়ে পাটনার রাস্তায় র্যালিও করেছেন তাঁরা। সেই র্যালিতে রাষ্ট্রীয় জনতা দলে (আরজেডি)-র নেতা তেজস্বী যাদবকে দেখা গিয়েছে ট্রাক্টর চালাতে। তখন তাঁর দাদা তেজপ্রতাপ যাদব চড়েছিলেন ট্রাক্টরের মাথায়। এই বিলকে কৃষক বিরোধী অ্যাখ্যা দিয়ে তেজস্বী বলেছেন, ‘‘সরকার আমাদের ‘অন্নদাতাদের’ পুতুল বানানোর চেষ্টা করছে। ২০২২-র মধ্যে কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করার কথা বলেছিল সরকার। কিন্তু এই বিল তাঁদের আরও গরিব করবে।’’