BRAKING NEWS

উত্তর-পূর্ব ভারতের সমস্যাগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে গবেষণা এবং উদ্বোধন করা উচিত : প্রধানমন্ত্রী

নয়াদিল্লি, ২২ সেপ্টেম্বর (হি. স.):  উত্তর-পূর্ব ভারতের সমস্যাগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে গবেষণা এবং উদ্বোধন করা উচিত।মঙ্গলবার গুয়াহাটি আইআইটির পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তর-পূর্ব ভারতের সাধারণ মানুষের জীবনকে আরো সহজতর এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে এই গবেষণা ও উদ্ভাবন করা উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।


মঙ্গলবার আইআইটি গুয়াহাটির ২২ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, আপনাদের জীবনে এই অঞ্চলের অবদান রয়েছে। এই অঞ্চলের প্রতিকূলতা এবং সম্ভাবনাগুলিকে নিজেদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত।এই অঞ্চলে সৌর শক্তির ব্যবহার ও প্রসার থেকে শুরু করে পর্যটন শিল্পের প্রসার সহ একাধিক ক্ষেত্রে গবেষণা এবং উদ্ভাবন জরুরী।

এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৬৮৭ পড়ুয়াকে বি.টেক এবং ৬৩৭ পড়ুয়াকে এম. টেক সহ মোট ১৮০৩ পড়ুয়ার হাতে মানপত্র তুলে দেওয়া হয়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৩০০ গবেষককে পিএইচডি ডিগ্রী  তুলে দেওয়া প্রসঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হয়ে থাকবে।এই উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাংক, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় ধত্রী।অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।গুয়াহাটির আইআইটি কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আহ্বান করেছেন যে, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যেন প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে গবেষণা এবং জীবন ও সম্পদ রক্ষা করার জন্য একটি গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র গড়ে তুলুক। প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও কি করে জীবনধারণ করা যায় সেই নিয়েই এই কেন্দ্রটি গবেষণা করুক।

তিনি বলেন, ভারতের পূর্বে তাকাও নীতির কেন্দ্র হচ্ছে গুয়াহাটি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারত।দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে ভারত মূলত সংস্কৃতি, বাণিজ্য, কানেক্টিভিটি এবং ক্ষমতায়ন গুরুত্ব দেওয়া দিয়েছে। এর মধ্যে নবতম সংযোজন শিক্ষা। করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে শিক্ষা এবং গবেষণার সম্প্রসারণ বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল।কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও আইআইটি গুয়াহাটি এর থেকে সাফল্য পেয়েছে।দেশকে আত্মনির্ভর বানানোর জন্য আইআইটি গুয়াহাটি যে কাজ করে চলেছে তার জন্যই প্রতিষ্ঠানকে অনেক অভিনন্দন।

নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, দেশকে আত্মনির্ভর বানাতে নতুন শিক্ষানীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি সেই সকল তরুণ তরুণীদের জন্য যারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে চায়।এই সকল তরুণ তরুণীরা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতকে গ্লোবাল লিডারে পরিণত করবে।

নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির মূল লক্ষ্যই হচ্ছে শিক্ষাকে প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করা। সেই দিকে এগিয়ে চলতে নতুন শিক্ষানীতিতে ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন গড়ে তোলারও কথা বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *