নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ সেপ্ঢেম্বর৷৷ নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি দেশের মানুষের জন্য সময় দিচ্ছেন৷ অন্তিম মানুষ পর্যন্ত প্রকল্প নিয়ে তা বাস্তবায়িত করছেন৷ জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে৷ কিন্তু ভারতবর্ষের সংসদের ভেতর ও বাইরে যে সমস্ত দলগুলি রয়েছে এবং যে সমস্ত দল সরকার বিরোধী রয়েছে তারা পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্র করে মানুষকে কিভাবে বিভ্রান্ত করা যায় তাঁর একটা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ এটা রাজ্যের মধ্যেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ মানুষ তাদের ক্রমশ জন বিছিন্ন করছে৷ কিন্তু তাঁর থেকে এই দল গুলি শিক্ষা নিচ্ছে না৷
কোভিড পরিস্থিতিতে সেই সমস্ত দল গুলি সক্রিয় রয়েছে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে৷ দলের উর্ধে উঠে মানুষের জন্য কাজ করার পরিবর্তে তারা নোংরা রাজনীতি করছে৷ সমস্ত নির্দেশকে অবজ্ঞা করে দেশ ও সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রে কংগ্রেস ও সিপিএম একাকার হয়ে গেছে৷ অনৈতিক বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস৷ রাজ্যের মানুষ তাদের এই বনধকে ব্যর্থ করে দিয়েছে৷ এর জন্য মানুষকে ধণ্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য প্রবীর চক্রবর্তী৷ জন জীবন স্বাভাবিক রেখে মানুষ তাদের প্রতি বার্তা দিয়েছেন বলে জানান তিনি৷ কেবল মাত্র কৈলাসহরে কংগ্রেস দলের কিছু সমর্থক বনধ ব্যর্থ হওয়ার পর আক্রমণ সংগঠিত করে৷ এতে আহত হয় বিজেপি-র বেশ কিছু কর্মী সমর্থক৷ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য প্রবীর চক্রবর্তী৷ বনধকে ব্যর্থ করার জন্য রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ জানায় প্রদেশ বিজেপি৷
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে উদ্যোগ নিয়েছে৷ কৃষি কাজে আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার৷ গত রবিবার রাজ্যসভা কৃষি সংক্রান্ত দুটি বিল পাস হয়েছে৷ আর সরকার কৃষকদের স্বার্থে এই উদ্যোগ গ্রহণ করতেই রবিবার বিরোধী দলের সাংসদরা হট্টগোল শুরু করে রাজ্যসভায়৷ গত রবিবারের পর থেকে রাজ্যের বিরোধী দল গুলিও সেই দুটি বিলের বিরোধিতা করার প্রয়াস চালাচ্ছে৷ সোমবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ বিজেপি পক্ষ থেকে বিরোধীদের এধরনের কার্যকলাপে তীব্র নিন্দা জানান প্রদেশ বিজেপি মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী৷ তিনি আরো বলেন, কৃষকদের স্বার্থে এ দুটি বিল পাস করা হয়েছে৷ এতে দেশের ৮৬ শতাংশ ক্ষুদ্র এবং মাঝারি কৃষক লাভান্বিত হবে৷
কিন্তু বিরোধীরা তথা কংগ্রেস এবং সিপিআইএম এই দুটি বিলকে কেন্দ্র করে যে অপপ্রচার এবং বিভ্রান্ত মানুষের মধ্যে ছড়াতে চাইছে তা দেশের গণতন্ত্রের জন্য অশুভনীয়৷ কারণ পূর্বে কৃষকদের ৪ হাজার কোটি টাকা দালালদের দিতে হতো৷ এখন আর দালালদের দিতে হবে না কৃষকদের৷ কৃষকদের যেমন আয় বাড়বে তেমনি কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে ফসল অনলাইনেও নিজ ইচ্ছে মতো বাজারে বিক্রি করতে পারবে৷ কৃষকদের ফসল আরো অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় করা সম্ভব হবে৷ বিনিয়োগকারী কৃষকরা লাভান্বিত হবে৷ এবং পূর্বের ন্যায় ৮ শতাংশ লেভি দিতে হবে না৷
স্বাধীনতার ৭০ বছর পর এটি প্রথম কৃষকদের সুরক্ষিত এবং সময় উপযোগী ঐতিহাসিক বিল বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি৷ লক্ষ্য একটাই এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ে তোলা৷ আর সেই লক্ষ্যে গোটা দেশকে এক কাঠামোতে নিয়ে আসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এ ধরনের সিদ্ধান্ত বলে জানান মুখপাত্র৷ আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এ ধরনের উদ্যোগকে শুভেচ্ছা জানায় প্রদেশ বিজেপি পক্ষ থেকেও৷

