মনির হোসেন, ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২০ ।।
বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামী যুবলীগ নেতা ও বিশিষ্ট উদীয়মান তরুন ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন,একজন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক কর্মীকে পুলিশের সোর্স উল্লেখ করে তার ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিপন্থী। স্বাধীন গনমাধ্যম আজ এক শ্রেনীর অপেশাদার ও হলুদ সাংবাদিকের কারনে কলুষিত হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া দরকার।অন্যথায় জাতি গনমাধ্যমের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবে বলে তিনি মনে করেন।
গতকাল রবিবার তার নিজস্ব ফেইসবুক পেজে এক আবেগগন ষ্ট্যাটাসে তিনি আরো বলেন,আমরা ছোটখাটো ব্যবসায়ী ও পাশাপাশি আওয়ামী যুবলীগের রাজনৈতিক কর্মী।আমরা সব সময় পুলিশ এবং সাংবাদিকদেরকে জাতির বিবেক হিসেবে জেনে এসেছি এবং এখনো তা বিশ্বাস করি।পুলিশ এবং সাংবাদিক দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ দায়ক লোক। কারণ সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খবরাখবর পেয়ে থাকি এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে দেশের কল্যাণ বয়ে আনে।সেই সংবাদের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পুলিশ, সিআইডি এবং বিভিন্ন সংস্থার লোকেরা অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। তারা দেশের জন্য কাজ করা মানেই জনগণের পে কাজ করা, তাই সব সময় আমরা পুলিশ এবং সাংবাদিকদেরকে সম্মান করে আসি। কারণ তাদের মাধ্যমে দেশের সর্বেেত্র অন্যায় অপরাধের চিত্র উঠে আসে এবং প্রকৃত অপরাধীরা আইনের আওতায় এসে থাকে। ফলে তাদের মুখোশ উন্মোচন হয় ও অপরাধ অনুসন্ধানের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া সম্ভব। তবে বর্তমানে সাংবাদিকতার নামে কিছু সংখ্যক লোক ও মিথ্যা তথ্য প্রদানকরে নানা অপকৌশল অবলম্বন করে সাংবাদিকতার মুখোশ পড়ে বিভিন্ন স্বার্থ হাসিল করার জন্য নির্দোষ ব্যক্তিদের নামে কুৎসা রটাতে নিয়োজিত থাকে।
সাদ্দাম হোসেন বলেন ,স্পষ্টভাষী শিতি জাতির বিবেক কোটি কোটি মানুষের আস্থা এবং দেশের সম্মানিত জায়গায় স্থান পাওয়া একটি শব্দ সাংবাদিক । সেই প্রকৃত সাংবাদিকতাকে কলঙ্কিত ও দুর্নাম করার জন্য একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে ।তিনি বলেন, ভন্ড, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতি পরায়ন ব্যক্তিদেরকে আপনাদের কাছ থেকে বিরত রেখে জাতিকে মুক্ত করুন এবং জাতির আস্থা সাংবাদিকতার উপর যেন সব সময় থাকে সেই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, কিছু অনলাইন পত্রিকায় দেখতে পেলাম আমাকে জড়িয়ে ঢাহা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বেআইনি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিপন্থী। কারণ একজনের নামে কিছু লিখার আগে সঠিক তথ্য জেনে নিতে হয়। আমার মনে হয় সে যদি প্রকৃত সংবাদকর্মী হয়ে থাকে আমি তাকে চ্যালেঞ্জ করলাম,এমন কোন তথ্য বা ডকুমেন্ট দিতে পারলে আমাকে জাতি যা বিচার করবে সবার সম্মুখে মাথা পেতে নেব। আর দিতে না পারলে সম্মানের সহিত বলছি,আপনি জাতির কাছে মা চান।
আপনাদের সাথে আমাদের ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই এবং কারো সাথে ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচারে দয়াকরে বিরত থাকুন, না হয় আপনাদের মত কিছু সংবাদকর্মীদের জন্য জাতি সংবাদ ও গণমাধ্যমের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে।
এদিকে,গত শনিবার ১৯ সেপ্টেম্বর এনএনএস ২৪ ডটকম নামে একটি অনলাইনে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামী যুবলীগ নেতা ও বিশিষ্ট উদীয়মান তরুন ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন এর নামে অসত্য সংবাদ পরিবেশন করে।এতে উল্লেখ করা হয় ,গোদনাইল বার্মা ষ্ট্যান্ড ও এসওরোড এলাকায় পদ্মা ও মেঘনা অয়েল ডিপোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে শতাধিক অবৈধ চোরাই তেলের দোকান। ঐ সকল চোরাই তেলের দোকান থেকে সাদ্দাম ওরফে মোটা সাদ্দাম নামের এক পুলিশ সোর্সের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা নেয়া হয় বলে জানান স্থানীয় সূত্র। তবে মাসোহারা দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও চোরাই তেলের ব্যবসার কথা অস্বীকার করেছেন সাদ্দাম ওরফে মোটা সাদ্দাম। তিনি বলেন, খোলা বাজারে তেল বিক্রি করার কারণে এ টাকা দিতে হয় থানার ওসিকে। অন্যথায় আমাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিবে পুলিশ।
এব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামী যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন,আমি কোন গনমাধ্যম কর্মীর সাথে কথা বলি নাই।অথচ প্রকাশিত সংবাদে আমার বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে যা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।এখানে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করা হয়েছে।