নয়াদিল্লি, ১৫ সেপ্টেম্বর (হি. স.): পূর্ব লাদাখের সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতে চিনের আগ্রাসন সম্পর্কে সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় মঙ্গলবার বক্তব্য রাখেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মেনে নিয়েছেন যে লাদাখে ৩৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা অবৈধভাবে নিজেদের দখলে রেখেছে চিন। এছাড়াও ১৯৬৩ সালে তথাকথিত সীমান্ত সমঝোতা অনুযায়ী পাকিস্তান পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৫১৮০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চিনের হাতে তুলে দেয়। এদিন কর্নেল সন্তোষবাবু সহ ২০ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন রাজনাথ সিং।
এদিন লোকসভায় দাঁড়িয়ে রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, সোমবার সংসদ দুই মিনিট নীরবতা পালন করে পূর্ব লাদাখে শহীদ হওয়া বীর জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা ব্যক্ত করেছিল। আমি নিজেও পূর্ব লাদাখ এগিয়ে আমাদের বীর জওয়ানদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে এসেছি। সেখানে থাকাকালীন আমাদের সেনা জওয়ানদের অদম্য সাহস, বীরত্বকে অনুভব করেছি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পূর্ব লাদাখে গিয়ে বীর সেনা জওয়ানদের সাহস বৃদ্ধি করেছেন।তিনি সেনাবাহিনীকে আশ্বস্ত করে এসেছেন যে গোটা ভারত তাদের পাশে রয়েছে।
সীমান্ত বিবাদ একটি জটিল সমস্যা। যার সমাধান ধৈর্য সহকারে করতে হবে। পূর্ব লাদাখে দুই দেশের মধ্যে বাস্তবিক নিয়ন্ত্রণরেখা গড়ে ওঠেনি। তাই সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের সেনাবাহিনীর ভিন্নমত পোষণ করে থাকে।১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালে দুই দেশের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল ভারত এবং চিন উভয়ই সীমান্তে নিজের সেনাদের সমাবেশ সীমিত করবে। দুই দেশের মধ্যে এমন সমঝোতা হয়েছিল যে যতদিন না পর্যন্ত সীমান্ত বিভ্রাট সমাধান না হবে ততদিন পর্যন্ত এই সমঝোতা মেনেই কাজ করা হবে।
সীমান্তে চিনের ওপর ক্রমাগত নজর রাখা হচ্ছে। মে মাসের শুরু থেকেই গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর টহলরত জওয়ানদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল চিন। তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল চিন। এই বিষয়ে চিনকে সতর্ক করা হয়েছিল কূটনৈতিক এবং সামরিক পর্যায়। এমনকি কোর কমান্ডার পর্যায়ে দুই তরফের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। তা সত্বেও চিন কথা শুনছে না। ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে দেশকে সুরক্ষিত করে চলেছে।প্রতিবেশীর সঙ্গে সংবেদনশিল সম্পর্ক রাখতে তৎপর ভারত।