নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ সেপ্ঢেম্বর৷৷ রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে ইদানিং কালে বিভিন্ন সংবাদ পত্র ও সামাজিক মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে কিছু ঘাটতির খবর প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরা হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে৷ আজ শুক্রবার এই মামলাটির শুনানি গ্রহণ হয়৷ এই শুনানিতে হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নোটিশ দিয়ে বলে রাজের কোভিড পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার যাবতীয় বিষয় কোর্টকে যাতে অতি দ্রুত অবহিত করে৷ এখন ত্রিপুরা হাইকোর্ট রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি বিষয়ে হতক্ষেপ করায় অতি দ্রুত পরিষেবা আরো উন্নত হবে বলে বিভিন্ন মহলের অভিমত৷
শুক্রবার উচ্চ আদালত স্বতপ্রণোদিত ভাবে একটি জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করে৷ এই জনস্বার্থ মামলার মূল বিষয় হল রাজ্যের করোনা চিকিৎসা জনিত চিকিৎসা ব্যবস্থা৷করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার বিষয়ে উচ্চ আদালত রাজ্য সরকারের কাছে কিছু বিষয় জানতে চেয়েছে৷ সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত রোগীদের পরিবার পরিজনরা যে অভিযোগ তুলেছে এবং করোনা চিকিৎসার অব্যবস্থা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে যে সকল সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে সেগুলি উচ্চ আদালতের নজরে এসেছে৷ তারই পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলাটি গ্রহণ করে বলে জানান আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মণ৷ তিনি আরও জানান উচ্চ আদালতের এই হস্তক্ষেপের ফলে রাজ্যে করোনা চিকিৎসার অব্যবস্থার সমাধান হবে৷ শুক্রবার উচ্চ আদালত রাজ্য সরকারের নিকট কিছু বিষয়ের স্পষ্টীকরণ চেয়েছে৷
যে বিষয় গুলি উচ্চ আদালত জানতে চেয়েছে তার মধ্যে হল করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে কি কি ব্যবস্থা রয়েছে, রোগীর পরিবার পরিজনদের সাথে চিকিৎসকদের যোগাযোগের ঘাটতি দূরীকরণে রাজ্য সরকার কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোন ধরনের ট্রিটমেন্ট প্রোটোকল নেওয়া হয়েছে৷ করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার সাথে যুক্তদের সুরক্ষার জন্য কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, জেলা হাঁসপাতাল গুলিতে করোনা চিকিৎসার কি পরিকাঠামো রয়েছে, করোনা চিকিৎসার জন্য কোন তহবিল থেকে অর্থ প্রদান করা হচ্ছে৷ কোন কোন খাতে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে৷ এই সকল বিষয় গুলি রাজ্য সরকারের নিকট জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত৷ ৭ দিনের মধ্যে হলপ নামার মাধ্যমে সরকারকে ১৫ টি বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট৷শুক্রবার উচ্চ আদালতে শুনানি হয় এই মামলার৷