নয়াদিল্লি, ১১ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা – গ্রামীণ পিএমএওয়াই-জি কর্মসূচির একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। মধ্যপ্রদেশে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার নবনির্মিত বাড়ির গৃহপ্রবেশ এবং উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি হবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে।
করোনা মহামারীর সময়ে এই বাড়িগুলি নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী ২০১৬’র ২০ নভেম্বর সকলের জন্য ২০২২ সালের মধ্যে আবাসনের যে ঘোষণা করেন, তারই আওতায় এই ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি – পিএমএওয়াই-জি চালু হয়। এ পর্যন্ত দেশ জুড়ে ১.১৪ কোটি বাড়ি এই কর্মসূচির আওতায় তৈরি হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে ১৭ লক্ষ দরিদ্র মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। যেসব দরিদ্র মানুষদের কোনও বাড়ি ছিল না, বা যাঁরা ভাঙা বাড়িতে থাকতেন, তাঁদের জন্যই এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
পিএমএওয়াই-জি প্রকল্পে প্রতিটি উপভোক্তা ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার পুরো অনুদান পেয়ে থাকেন – এখানে ৬০ শতাংশ কেন্দ্র এবং বাকি ৪০ শতাংশ রাজ্য বহন করে। পিএমএওয়াই-জি কর্মসূচিতে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বাড়ি তৈরির সময় ৪টি কিস্তিতে টাকা পাঠানো হয়। জিওট্যাক ছবির মাধ্যমে প্রত্যেক স্তরের কাজ শেষ হওয়ার পর এই সংক্রান্ত নিশ্চয়তা প্রাপ্তির পরই টাকা পাঠানো হয়ে থাকে।
এর পাশাপাশি, উপভোক্তারা মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্প (এমজিএনআরইজিএস) প্রকল্পের আওতায় ৯০-৯৫ দিন অদক্ষ শ্রমিকের কাজ পান। এছাড়াও, স্বচ্ছ ভারত মিশন – গ্রামীণ অথবা অন্য যে কোনও প্রকল্পের মাধ্যমে শৌচাগার নির্মাণের জন্য ১২ হাজার টাকা অনুদান পেয়ে থাকেন। এই পুরো প্রকল্পের মাধ্যমে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পগুলির সুবিধাও সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীরা পান। এর মধ্যে রয়েছে – প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় রান্নার গ্যাস, বিদ্যুৎ সংযোগ, জল জীবন মিশনের মাধ্যমে নিরাপদ পানীয় জল ইত্যাদি। মধ্যপ্রদেশ সরকার ‘সমৃদ্ধ পর্যাবাস অভিযান’ – এর আওতায় সামাজিক সুরক্ষা, পেনশন প্রকল্প, রেশন কার্ড, প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা, জাতীয় গ্রামীণ জীবন জীবিকা মিশন সহ ১৭টি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা এইসব সুবিধাভোগীদের প্রদান করে।