নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ সেপ্ঢেম্বর৷৷ বনধ করতে গিয়ে হোঁচট খেলেন বীরজিৎ সিনহা এন্ড কোং৷ ব্যক্তিস্বার্থে হঠকারিতা করতে গিয়ে কার্যত দাবরানি খেতে হল৷ এআইসিসির পক্ষ থেকে লুই জিনহো ফেলেইরো, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস ও বীরজিৎ সিনহাকে এআইসিসি তথা সোনিয়া গান্ধীর এই নির্দেশের বিষয়ে অবগত করেছেন৷আগামী ১১ তারিখ রাজ্যে আসছেন ভূপেন বোরা৷
সেদিনই দলের প্রদেশ নেতৃত্ব ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস এর যৌথ উদ্যোগে কংগ্রেস পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি নির্ধারণ করবে৷ এ খবর জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিজে৷ যদিও কেন্দ্রীয় কমিটির এই দাবরানি সংক্রান্ত বিষয়ে বীরজিৎ সিনহার প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি৷ কারণ তার মোবাইল বন্ধ করে রাখা হয়েছে৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সম্প্রতি বীরজিৎ সিনহা আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগে, কংগ্রেসের একটা গোষ্ঠী রাজ্যজুড়ে বনধের ডাক দেয়৷ প্রথমে ৩ তারিখ ও পরে ৮ই সেপ্ঢেম্বর বনধ করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ যদিও প্রদেশ কংগ্রেস এই বনধে কোনও সম্মতি জানায় নি৷ অথচ সেদিন তারা প্রচার করেছিল যে, প্রদেশ কংগ্রেস না চাইলেও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন নিজস্ব উদ্যোগে নাকি বনধ পালন করতে পারে৷ এই যুক্তি দেখিয়ে প্রচারে নামে ওই গোষ্ঠীটি৷ যদিও বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এই প্রচারে কোন গুরুত্বই পাওয়া যায়নি৷
এ অবস্থায় কংগ্রেসের বনধ সমর্থক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে প্রচার করা হয় যে, এই কর্মসূচিতে নাকি দিল্লির স্বীকৃতি রয়েছে৷ এই ধরনের প্রচার যে কতটা অসত্য ছিল, তা আজকের নির্দেশে স্পষ্টতই প্রমাণিত হয়৷ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যদি এভাবে বিভ্রান্তি ছড়ায়, তবে রাজনৈতিক ভাবে কংগ্রেস আরো ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে দিল্লিতে বার্তা পৌছায়৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি সিদ্ধান্ত নিয়ে বনধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়৷ এই পরিস্থিতিতে আবারো হোঁচট খেলেন বিরজিত সিনহা৷ দলের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যতেও যাতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল তৈরি করা না হয়, সে বিষয়েও স্পষ্ট বার্তা দেয়া হয়েছে বলে খবর৷