ইমফল, ২৯ আগস্ট (হি.স.) : উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের চিকিৎসক একাধারে করোনা যোদ্ধা ২৭ বছর বয়সি বেয়নচি লাইশ্রাম এখন নুপিমানবী সম্প্রদায়ের জন্য আশার প্রতীক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন| মণিপুর তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের মহিলা চিকিৎসক জনকল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরে গর্বিত বোধ করছেন|
ডা. বেয়নচি লাইশ্রাম রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (রিমস্)-এর প্রাক্তনী করোনা যোদ্ধা হিসেবে দারুণভাবে দায়িত্ব পালন করছেন| ইমফলে অবস্থিত সিজা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছেন তিনি|
এক সাক্ষাৎকারে ডা. লাইশ্রাম বলেন, ছেলে রূপেই আমার জন্ম হয়েছিল| কিন্তু, নবম অথবা দশম শ্রেণিতে পড়াশুনার সময় নিজেকে ছেলে বলে চিনতে পারছিলাম না| তিনি জানান, ২০১১ সালে রিমস্ থেকে এমবিবিএস পাশ করি। ২০১৩ সালে পরিবারকে ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলাম। আমার বাবা এতটাই মর্মাহত ছিলেন নিজেকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন|
তিনি বুবুই লাইশ্রাম নামে পরিচিত ছিলেন| কিন্ত ২০১৩ সালে মিস ট্রান্স কুইন নর্থইস্ট প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে বেয়নচি রাখেন| পুদুচেরিতে লিঙ্গ পরিবর্তন করতে তিনি অস্ত্রোপচার করেছেন| এর পর থেকে নতুন রূপে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে| বর্তমানে তিনি নুপিমানবী সম্প্রদায়ের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন| সিজা হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডা. সরোখায়বাম যোগিন্দ্রের কথায়, প্রত্যেক মানুষ সমান| তাই ডা. বেয়নচিকে বাছাই করার আগে তাঁর লিঙ্গ দেখা হয়নি| বেয়নচি তাঁর সাফল্য নিয়ে থেমে থাকেননি। এখন তিনি স্নাতকোত্তর প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, জানান ডা. সরোখায়বাম|