কলকাতা, ২৮ আগস্ট (হি. স.) : করোনা আবহের মধ্যেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বা ইউজিসি। এই পরিস্থিতিতে তা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছিল অনেক রাজ্য। পরীক্ষা বাতিলের দাবি করেছিল তারা। সেই নিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টেও। দেশের শীর্ষ আদালত শুনানিতে ইউজিসির পক্ষেই রায় দিল।
জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিতেই হবে। কিন্তু সংক্রমণের কারণে পরীক্ষার দিন পিছোতে পারে। ইউজিসির সঙ্গে কথা বলেই তা ঠিক করতে হবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যগুলি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কোনও মতেই বাতিল করতে পারবে না। তবে তারা সংক্রমণের কারণে তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বরের থেকে পিছোতে পারে। সেটাও ইউজিসির অনুমতি নিয়ে করতে হবে। পরীক্ষা ছাড়া কাউকে পাশ করানো যাবে না বলেই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ পরীক্ষা নিতেই হবে সব রাজ্যকে।
করোনা সংক্রমণের কারণে পরীক্ষা বাতিল করার দাবিতে একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তার মধ্যে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরের আবেদনও ছিল। এইসব আবেদনে বলা হয়েছিল, সংক্রমণ ছড়ানোর পর থেকে গত কয়েক মাস ধরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বন্ধ। ছাত্র-ছাত্রীরাও অনেক সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। তাই পরীক্ষা না নিয়ে আগের সবকটি ইয়ার বা সেমেস্টারের রেজাল্টের ভিত্তিতে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশ করিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু এই আবেদন মানতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট।