আগরতলা, ২৭ আগস্ট (হি.স.)৷৷ ত্রিপুরায় শিল্প ও পর্যটন শিল্পের বিকাশে পরিকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তাঁর কথায়, সরকার যোগাযোগ, শিল্প ও পর্যটনে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে৷ সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে৷ ত্রিপুরায় গড়ে তুলতে হবে অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন হোটেল ও অন্যান্য ব্যবস্থা৷ ত্রিপুরা আরবান প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকেও সে ব্যাপারে লক্ষ্য রেখে পরিকল্পনা নিতে হবে, জোর দিয়ে বলেন তিনি৷
ত্রিপুরা আরবান প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (টুডা) সভা আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সভায় পৌরোহিত্য করেন সংস্থার চেয়ারম্যান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ সভায় শহর এলাকার উন্নয়নে টুডা যে সব পরিকল্পনা নিয়েছে সেগুলি পর্যালোচনা করা হয়েছেঊ সভায় তিনটি টাউনশিপ প্রকল্প বিষয়ে আলোচনাকালে ত্রিপুরা আরবান প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কমিশনার ডা. শৈলেশ কুমার যাদব বলেন, টুডা-র টাউনশিপ প্রকল্পে বিবেকানন্দ মার্কেট এলাকায় ৪৮টি ফ্ল্যাট, কুঞ্জবন ভগত সিং আবাস সংলগ্ণ স্থানে ২১৬টি এবং নন্দননগরে ৩৯২টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে৷ ইতিমধ্যেই বিবেকানন্দ মার্কেট এলাকায় ও কুঞ্জবন ভগত সিং আবাস এলাকার ফ্ল্যাট নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে৷
ডা. যাদব আরও জানান, ধলেশ্বরে পুরাতন কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে জায়গাটিতে টুডা নতুন একটি টাউনশিপ প্রকল্প হাতে নিয়েছে৷ সেখানে মোট ৪২০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে৷ নতুন এই টাউনশিপ প্রকল্পের জন্য ব্যয় হবে ২৬৮ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা৷ আগামী সেপ্ঢেম্বরের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া ও ফ্ল্যাট বুকিঙের কাজ শুরু করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে টুডা কাজ করছে বলে কমিশনার জানান৷
এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন টাউনশিপ প্রকল্পের কাজটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার উপর গুরুত্ব দিতে হবে৷ পাশাপাশি নির্মাণ কাজে গুণগতমান যাতে বজায় থাকে সেদিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার জন্য বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সভায় টুডা-র কমিশনার শৈলেশ যাদব লাইট হাউজ প্রকল্পের বিষয়ে বলেন, এই প্রকল্পে গরিব অংশের মানুষের জন্য এক হাজার ঘর নির্মাণ করা হবে৷ এই প্রকল্প রূপায়ণে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা৷ কেন্দ্রীয় সরকারের হাউজিং অ্যান্ড আরবান বিষয়ক মন্ত্রালয় লাইট হাউজ প্রকল্পটি রূপায়ণের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে নির্বাচিত করেছে৷
সভায় আইটি পার্ক প্রকল্পের বিষয়ে কমিশনার জানান, পুরাতন কেন্দ্রীয় জেলখানার ৩ একর জায়গা নিয়ে আইটি পার্কটি নির্মাণ করা হবে৷ এই আইটি পার্কে অ্যাকাডেমিক, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ এবং লাইব্রেরি বিল্ডিঙের নির্মাণ কাজ চলছে৷ এর মধ্যে অ্যাডমিনিস্ট্রাটিভ ও লাইব্রেরি বিল্ডিঙের কাঠামোগত কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে৷ সভায় এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের অর্থানুকল্যে ৭-টি জেলা সদরের পরিকাঠামো উন্নয়ন, শালবাগানে পিপিপি মডেলে ফাইভ স্টার হোটেল নির্মাণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়৷