মুম্বই, ১৮ আগস্ট (হি.স.) : চলতি বছরের আইপিএলের টাইটেল স্পনসরের নাম ঘোষণা করে দিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। সবদিক বিচার করে মঙ্গলবার ‘ড্রিম ১১’-কে আইপিএল ২০২০-র টাইটেল স্পনসর হিসেবে নিয়োগ করল বিসিসিআই । আর অর্থাৎ সংযুক্ত আবর আমিরশাহীতে আয়োজিত হতে চলা আইপিএলের নতুন নাম হবে ‘ড্রিম ১১ আইপিএল’।
আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল এদিন জানান, ২২২ কোটি টাকার চুক্তিতে এই অনলাইন গেমিং সংস্থার সঙ্গে এবছর চুক্তি করা হয়েছে। ১৮ অগস্ট ২০২০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত আইপিএলের সঙ্গে তারা চুক্তিবদ্ধ। ‘ড্রিম ১১’ এর আগেও বিসিসিআই-র পার্টনার ছিল।
উল্লেখ্য, গত জুনে লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হল ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান। তারপর থেকেই দেশজুড়ে চিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। একগুচ্ছ চিনা অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও বিসিসিআই প্রথমে জানিয়েছিল, চিনের মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা ভিভো-কেই টাইটেল স্পনসর হিসেবে রেখে দেওয়া হচ্ছে। যা নিয়ে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। পরে পরিস্থিতি প্রতিকূল বুঝে নিজেরাই টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভিভো। জানিয়ে দেয়, চলতি বছর তারা টুর্নামেন্টের স্পনসর হিসেবে থাকবে না। বাকি চুক্তির মেয়াদ আগামী তিন বছরে শেষ করবে।
তারপর থেকেই নয়া খোঁজ শুরু হয় নয়া স্পনসরের।এমনিতেই আইপিএল-এর অন্যতম পার্টনার ছিল এই ফ্যান্টাসি ক্রিকেট লিগ প্ল্যাটফর্মটি। আইপিএল-এর টাইটেল স্পনসর হওয়ার দৌড়ে ড্রিম১১-এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল টাটা সন্স, বাইজু এবং আনঅ্যাকাডেমির সঙ্গে। কোকাকোলা, পতঞ্জলি, আদানি গ্রুপও স্পনসরের দৌড়ে ছিল।জানা গেছে, অর্থের জোরেই স্পনসরশিপের বরাত জিতে নিল ড্রিম ১১। সূত্রের খবর, আনঅ্যাকাডেমির দর ছিল ২১০ কোটি টাকা। টাটা সন্স দিয়েছিল ১৮০ কোটি টাকা ও বাইজু দর দিয়েছিল ১২৫ কোটি টাকা।