BRAKING NEWS

সরকারের মূল অভিমুখই হচ্ছে একেবারে শেষ প্রান্তে বসবাসকারী মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের সুফল পৌছে দেওয়া, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দৃঢ়তার সাথে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ আগস্ট।। রাজ্যে বর্তমান সরকার জনতার সরকার। সরকারের মুল অভিমুখই হচ্ছে একেবারে শেষ প্রান্তে বসবাসকারী মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের সুফল পৌছে দেওয়া। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এবং সবকা বিশ্বাস এই সরকারের মূল মন্ত্র। গত ২৮ মাসে এই সরকারের প্রতিটি কাজকর্মে সেই লক্ষ্যেরই প্রতিফলন ঘটেছে এবং আগামীদিনেও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে। আজ ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে আসাম রাইফেলস ময়দানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে একথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে মানুষের জীবনের সামগ্রিক মানােন্নয়নের দিকে। রাজ্যের পিছিয়েপড়া সকল অংশের জনগণের আর্থ-সামাজিক মান উন্নয়ন, জনজাতিদের বিকাশ ও সুরক্ষা, স্বনির্ভর রাজ্য গড়ে তােলা, স্বচ্ছ প্রশাসন প্রদান, নেশামুক্ত সমাজ গড়ে তােলা, মহিলাদের সামাজিক সুরক্ষা প্রদান, আইনের সুযােগ সহজতর করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। সেই দিশাকে সামনে রেখে গত ২৮ মাস সময়কালে একগুচ্ছ পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত রূপায়িত হচ্ছে। সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলির মধ্যে রয়েছে কৃষি ও কৃষকের উন্নতি, রাজ্যের বাঁশ, রাবার, চা ও পর্যটনকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে স্বনির্ভরতা সৃষ্টি করা, মাছ চাষ, পশু পালন, রেশম চাষের মাধ্যমে রাজ্যের আর্থিক বুনিয়াদকে শক্তিশালী করা, যােগাযােগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতির মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার। আত্মনির্ভর রাজ্য গড়ে তােলার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণও জারি রয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে বর্তমান সরকারের কাজকর্মের বিভিন্ন খতিয়ান যেমন তুলে ধরেছেন তেমনি সরকারের আগামী দিনের কাজের রূপরেখারও প্রতিফলন ঘটেছে। একাধিক নতুন প্রকল্প আজ তিনি ঘােষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যে ওঠে এসেছে বর্তমান কোভিড-১৯ জনিত পরিস্থিতির কথাও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবছর এমন এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দেশে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হচ্ছে যা স্বাধীনতার পর আর কখনােই হয়নি। গােটা বিশ্ব আজ কোভিড- ১৯ অতিমারিজনিত পরিস্থির মধ্য দিয়ে চলছে। তিনি বলেন, রাজ্যে গত ২৭ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্য সমীক্ষা এবং কোভিড সংক্রমণ সনাক্তকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ১২ হাজার কর্মী এই বিশাল কর্মযজ্ঞে নিয়ােজিত ছিলেন। মাত্র ৭ দিনে ৯ লক্ষ ৫৬ হাজার পরিবারে সমীক্ষা করা হয়েছে। ত্রিপুরাই দেশের একমাত্র রাজ্য যেখানে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার মাধ্যমে কোভিড রোগী সনাক্তকরণ করা হয়েছে।

জাতীয় শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৩৪ বছর পর নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সময়ােপযােগী এবং ঐতিহাসিকও। নতুন শিক্ষানীতি একটি বৈপ্লবিক ও ভবিষ্যম্মুখী পদক্ষেপ। এটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক এবং ফলপ্রসূ আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

রাজ্য সরকারের ভবিষ্যৎ কর্মসূচির প্রসঙ্গ তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব বলেন, রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যােজনা নামে একটি নতুন মেগা প্রকল্পের সূচনা করতে যাচ্ছে। কৃষি, সেচ, হর্টিকালচার, মৎস্যচাষ, পশুপালন প্রভৃতি প্রাইমারি সেক্টরে যে সমস্ত প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত সমীক্ষা করা হবে এবং তাদেরকে কৃষি, সেচ, হর্টিকালচার, মৎস্যচাষ, পশুপালন ইত্যাদি ক্রিয়াকলাপে সহায়তা করা হবে। গ্রামাঞ্চলে বার্ষিক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার কম আয়ের পরিবারদের সাবসিডিতে সহায়তা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে প্রত্যেক পরিবারকে একটি ফেমিলি বেনিফিট রিপাের্ট কার্ড দেওয়া হবে। এতে উল্লেখ থাকবে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৮-১৯ থেকে কি কি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা পরিষেবা আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। শহরতলী এলাকার ৫টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখন থেকে স্পেশালিস্ট ওপিডি শুরু হতে যাচ্ছে। সবাইকে যাতে চিকিৎসার জন্য জিবি এবং আইজিএম হাসপাতালে ছুটে যেতে না হয় সেজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় আগরবাতি শিল্পের পুনরুদ্ধারে এবং এই কাজের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের জীবিকার সংস্থান মুখ্যমন্ত্রী আগরবাতি আত্মনির্ভর মিশন নামে নতুন একটি প্রকল্প রাজ্যে চালু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজ্যের প্রাকৃতিক বনজ সম্পদ বাঁশকে কাজে লাগিয়ে আগরবাতি শিল্পের প্রসার এবং এর মাধ্যমে স্বনির্ভরতা সৃষ্টি করা। এর আওতায় ৫০০ গ্রামীণ পরিবারকে সাহায্য করা হবে যাতে ঘরে বসে বাঁশের ফালা উৎপাদন করে পরিবারপিছু প্রতিমাসে নয় হাজার টাকা আয় করা যায়। এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে বড় বড় শিল্প ইউনিট যেখানে ব্যাম্বু স্ট্রিপকে ব্যাম্বো রাউন্ড স্টিকে পরিবর্তিত করা হবে। আরও তিনশােটি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে যেখানে আগরবাতি তৈরি করা হবে। এই আগরবাতি ত্রিপুরার ভেতরে এবং বাইরে বিক্রি করা যাবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিন বছরের মধ্যে ৭৫ কোটি টাকা বিনিয়ােগের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ এবং পরােক্ষভাবে পাঁচ হাজার লােকের রােজগারের ব্যবস্থা করা হবে। এরফলে ত্রিপুরা আগরবাতি রাউন্ড স্টিক ও আগরবাতির মুখ্য সহকারী হিসেবে আগের অবস্থানে ফিরে আসবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে উচ্চশিক্ষায় প্রফেশনাল কোর্সে পড়াশুনার জন্য এসসি, এসটি, ওবিসি ও সংখ্যালঘু ছাত্র ছাত্রীদের মুখ্যমন্ত্রী মেরিটোরিয়াস স্টুডেন্ট গিফট কার্ড যােজনা নামে নতুন প্রকল্প চালু করা হবে। এই প্রকল্পে ১ লক্ষ টাকা গিফট কার্ডের মাধ্যমে দেওয়ার সংস্থান রয়েছে। সহজে ব্যাঙ্ক থেকে ছাত্রছাত্রীরা টাকা তুলতে পারবে। ব্যবসার উন্নতিকল্পে এসসি ও এসটি ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন থেকে রাজ্যের সমস্ত মাছ ও শুকনাে মাছ বিক্রেতাদের সাবসিডাইজড স্কিমের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, এসসি, এসটি এবং ওবিসি কর্পোরেশনগুলি ঋণ প্রদান প্রক্রিয়ায় গ্যারান্টির ক্ষেত্রে সরলীকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে ঋণ গ্রহীতারা সহজেই ঋণ পেতে পারেন।

রাজ্য সরকার আরও ৩০ হাজার নতুন মানুষকে সামাজিক পেনশন প্রদান করবে বলে ঘােষণা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ৩৩টি সামাজিক পেনশন প্রকল্পে বর্তমানে ৩ লক্ষ ৯২ হাজার ১৯৪ জন সুবিধা পাচ্ছেন। কোভিড- ১৯ পরিস্থিতিতে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত রাজ্যে চাকরি প্রার্থীদের বয়সের উদ্দ্ধসীমার ক্ষেত্রে ১ বছরের ছাড় দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাত্র বন্দনা যােজনার আওতায় ৬০ হাজার ৮৮৬ জনকে আনা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২১ হাজার ৮০৮ জন এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর থেকে ৫ হাজার টাকা এবং স্বাস্থ্য দপ্তর জননী শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় গ্রামাঞ্চলে ৬০০ টাকা, শহর এলাকায় ৭০০ টাকা এবং পুরাে ট্রান্সপাের্টেশনের খরচ দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গর্ভবতী মহিলাদের পুষ্টিগত দিকটি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী মা পুষ্টি উপহার স্কিম সম্প্রতি চালু করা হয়েছে। এর আওতায় প্রত্যেক গর্ভবতী মায়েদের ৫০০ টাকা করে মােট চার দফায় পুষ্টিকর খাবার উপহার দেওয়া হবে। এছাড়া এস এন পি প্রকল্পে বছরে ৩০০ দিন প্রতি বেনিফিসিয়ারির জন্য ২৮৫০ টাকা মূল্যের অতিরিক্ত পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পােষণ অভিযান কর্মসূচিতে আই সি ডি এস-এর সুপারভাইজার সহ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ১০ হাজার ৭৩৫টি স্মার্টফোন ইতিমধ্যেই বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী শ্রমযােগী মানধন যােজনা সফলভাবে রূপায়িত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অসংগঠিত ক্ষেত্রে ২৭ হাজার ১৪৫ জন শ্রমিকের নাম রাজ্যে নথিবদ্ধ হয়েছে। এই প্রকল্প রূপায়ণে ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহর) রূপায়ণে উল্লেখযােগ্য পারদর্শিতার জন্য দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরা প্রথম এবং সারা দেশের নিরিখে তামিলনাড়ুর পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যােজনায় (গ্রামীণ) প্রথম পর্যায়ে গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পার্বত্য এবং হিমালয়ান রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের চারটি মুখ্য চাহিদা পূরণের জন্য রাজ্য সরকার একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে যা সংক্ষেপে পি এইচ ই ডব্লিউ হিসেবে অভিহিত। অর্থাৎ রাজ্যের প্রতিটি নাগরিক গুণমান সম্পন্ন বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং পরিশ্রম পানীয় জলের পরিযেবা পৌঁছে দেওয়া। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার প্রত্যেক বাড়িতে গুণমান সম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দায়বদ্ধ। প্রতিটি পরিবারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে স্মার্ট কাস্টমার কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। গ্রামীণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযােগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সৌভাগ্য প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর ফলে ১০০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং এটি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে প্রশংসিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের ফলে টোটাল ফারটিলিটি রেইট, শিশু মৃত্যুর হার, ম্যাটারনাল ডেথ হার কমেছে। যক্ষা ও ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অনেক কমেছে। চিকিৎসা পরিষেবার সুযােগ সুবিধা বৃদ্ধি করার ফলে গত ৫ বছরের তুলনায় রাজ্য থেকে বহির্রাজ্যে রেফার কেইসের সংখ্যা কমছে। আয়ুম্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরােগ্য যােজনায় এ বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত রাজ্যে ১১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫১০ টি ই-কার্ড প্রদান করা হয়েছে। যে পরিবারগুলি এই স্কিমের আওতায় আসবে না তাদের আয়ুম্মান ত্রিপুরা প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ১১৬টি প্রাইমারি হেলথ সেন্টার এবং কমিউনিটি হেলথ সেন্টার প্রতিদিন রিপাের্ট পাঠানাের কাজ শুরু করেছে যে দেশের মধ্যে অনন্য। মােবাইল ভিত্তিক রেজিস্ট্রেশন সহ ই-হসপিটাল সম্পূর্ণভাবে চালু করা হবে।

শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে বলে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত দুই বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে গুণগত শিক্ষার প্রসারে ৩২টিরও বেশি সংস্কার আনা হয়েছে যাতে উন্নত পঠন পাঠনের সুফল পাওয়া যায়। এই প্রথম রাজ্যে এনসিইআরটি পাঠক্রম চালু হয়েছে। বিদ্যালয়গুলিতে তথ্য প্রযুক্তির পরিকাঠামাে বৃদ্ধি করার জন্য ২৫৩টি বিদ্যালয়ে ৪০০টি ল্যাপটপ কেনার প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে প্রতিটি পরিবারে পানীয় জল সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার অটল জলধারা প্রকল্প রূপায়ণ করছে। এই প্রকল্পে বিনামূল্যে পানীয় জলের পাইপলাইন সংযােগ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে সরকার। এ পর্যন্ত ১,৭৮,৯২৩টি পরিবারে পানীয় জলের সংযােগ দেওয়া হয়েছে। ২০২০-২১ সালে এই প্রকল্পে ৩,৩১,৫৭৩টি পরিবারে জলের সংযােগ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। শহরাঞ্চলে জল সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ত্রিপুরা জল বাের্ড গঠন করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির সুযােগ্য নেতৃত্বে রাজ্য হীরা মডেল কর্মসূচিতে এগিয়ে চলছে যােগাযােগ ও সংযােগ ক্ষেত্রে। এই অগ্রযাত্রায় রাজ্য আরেক ধাপ হীরা প্লাস স্তরে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আগরতলা-সাব্রুম জাতীয় সড়কের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর অন্য জাতীয় সড়কের অংশ বিশেষের কাজগুলি এগিয়ে চলেছে অথবা টেন্ডার পর্যায়ে রয়েছে বা সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থাকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়ে এতে রাজ্যের সঙ্গে আসাম ও মিজোরামের যােগাযােগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। এখন পর্যন্ত জাতীয় সড়কের নির্মাণের জন্য ৩, ১৯৩ কোটি টাকার আর্থিক অনুমােদন পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২,০০০ কোটি টাকার কাজের টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে সেক্টরে এতাে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিয়ােগ এর আগে আর কখনাে হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সময়মতাে নাগরিকদের পরিষেবা প্রদানের জন্য রাইট টু সার্ভিস অ্যাক্ট প্রণয়ন করতে রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাবুমে ফেণী নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সম্পন্ন হতে চলেছে। এই সেতু নির্মিত হলে সাব্রুম থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব কমে দাঁড়াবে মাত্র ৬০ কিমি। তিনি বলেন, গােমতী ও মেঘনা নদীর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্রটোকল রুট ইতিমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। শীঘ্রই শ্রীমন্তপুর জেটিতে পণ্যবাহী বার্জ আসতে চলেছে এবং এরফলে জলপথে দেশের মূল ভূ-খন্ডের সাথে রাজ্যর সরাসরি সংযােগ ঘটবে। এই জলপথের মাধ্যমে আসা পণ্যসামগ্রী ত্রিপুরা হয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যে পৌঁছানাে এখন সময়ের অপেক্ষামাত্র। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই যে ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে লজিস্টিক হাবে পরিণত হবে এবং উন্নত যােগাযােগ ব্যবস্থা রাজ্যের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি সাধন করবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ২০১৯-২০ সালে এবং চলতি ২০২০-২১ সালে মাথাপিছু আয়ের প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৭-১৮ সালের মাথাপিছু আয় যেখানে ছিলাে ১,০০,৪৪৪ টাকা ২০১৯-২০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১,২৩,৬৩০ টাকা। অর্থাৎ বিগত দুই বছরে গড়ে বার্ষিক বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১১.৫৪% যা দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশি। তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ সালে রাজ্যের মােট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পরিমাণ (জি এস ডি পি) ছিলাে ৪৩,৬৮৮ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ সালে তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫,৩৫৮ কোটি টাকা।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আইনি নথিপত্র ছাড়াই বর্গাদার, ভূমিহীন কৃষকদের আর্থিক সহায়তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী কর্গাদার ও ভূমিহীন কৃষকদের সহায়তা প্রকল্প নামে একটি নতুন স্কিম চালু করা হবে। এই লক্ষ্যে রাজ্যে এই প্রথম নাবার্ড ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সাথে মউ স্বাক্ষর হয়েছে। ১০ হাজার জয়েন্ট লায়াবেলিটি গ্রুপে সংযােগ সৃষ্টির মাধ্যমে ৫০ হাজার বর্গাদারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আত্মনির্ভর প্যাকেজের আওতায় বিশেষ করে ব্যবসা এবং ক্ষুদ্র, লঘু ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রে বন্ধকহীনভাবে ৩ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ প্রদান করা হবে। এটা তরুণ শিল্প উদ্যেগীদের জন্য একটা বড় মাপের সুযােগ সৃষ্টি করেছে। যাতে তারা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, বাঁশ, রাবার, কৃষি, ব্যবসা এবং মাছ ও মাংসের প্যাকেটজাতকরণের ক্ষেত্রে সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৮-১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১২,৪৬৫টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে বা পদ পূরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরে ৯,৯৩৭টি পদ পূরণ করা হয়েছে বা শূন্যপদ পূরণের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার কোভিড- ১৯ এর কারণে রাজ্যে ফিরে আসা ব্যক্তিদের উপযুক্ত কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, কৃষিক্ষেত্র হচ্ছে রাজ্যের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। আগামী পাঁচ বছরে মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিত সেচ কর্মসূচিতে ৬১,০০০ হেক্টর এলাকায় সেচের সুযােগ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। এম জি এন রেগায় ২০১৭-১৮ সালের তুলনায় ২০১৯-২० সালে রেগায় শ্রম দিবস বৃদ্ধির হার ৯৫ শতাংশ। ২০১৯ সালে বছরে গ ৬১ দিনের শ্রমদিবস সৃষ্টি হয়েছিলাে এবং ১২টি অ্যাসপিরেশানাল র্লকে বছরে গড়ে শ্রমদিবস সৃষ্টির পরিমাণ ৮২ দিন। ২০২০-২১ সালে ৪ কোটি শ্রমদিবস সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যকে সবুজায়ন করার লক্ষ্যে এবং ইচ ওয়ান প্ল্যান্ট ওয়ান এই স্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় সড়কের দুপাশে সড়ক সৌন্দর্যায়ন ও বনায়ন করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা আরবান এমপ্লয়মেন্ট প্রােগ্রাম টুয়েপ) এর মাধ্যমে শহর এলাকার গরীর অদক্ষ শ্রমিকদের বছরে ৫০ দিনের কাজের সুযােগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারও এবছরের ১ এপ্রিল থেকে এম জি এন রেগার দৈনিক মজুরির হার বৃদ্ধি করেছে। এর সঙ্গে সাযুজ্য রেখে রাজ্য সরকার টুয়েপে দৈনিক মজুরির হার বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে এখন থেকে টুয়েপের কাজে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি হবে ১৮৫ টাকা। আগে ছিলাে ১৭৭ টাকা।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে বেসরকারী জমি মালিকদের ১ টাকা মূল্যে এবং রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার সহ স্ব-শাসিত সংস্থার মালিকাধীন সরকারী জমিতে প্রতি পলিব্যাগ চারা গাছ বন দপ্তর থেকে বিনামূল্যে সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আগে পলিব্যাগ চারার মূল্য নেওয়া হতাে ১২ টাকা করে। মুখ্যমন্ত্রী স্ব-নির্ভর যােজনার মাধ্যমে পুরাে রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে। এর আওতায় সাবসিডাইজড লােন, ইনসিওরেন্সের প্রথম কিস্তি সর্বোচ্চ ১০ ०० টাকা, জি-এস-টি রেজিস্ট্রেশন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ৩০০০ টাকা পেনশন ও অবর্তমানে ১৫০০ টাকা ফেমিলি পেনশন দেওয়া হবে। এটা একটা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যার ফলে পাঁচ লক্ষ লােক উপকৃত হবেন।

বিশেষ ক্ষুদ্র সুবিধা প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী স্ট্রিট ভেন্ডার আত্মনির্ভর নিধি যােজনায় কার্যকরী মুলধনের জন্য ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহজ কিস্তিতে ঋণ দেওয়া হবে। ত্রিপুরা আরবান প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (টুডা) আগরতলা শহরের সামগ্রিক উন্নয়নে উল্লেখযােগ্য ভূমিকা পালন করছে।আগরতলা পুরানাে জেলখানার জায়গায় একটি আই টি পার্ক টাউনশীপ গড়ে তােলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত এই প্রকল্পে ১১ তলা বিশিষ্ট হাইরাইজ বিল্ডিং গড়ে উঠবে যাতে থাকবে ৪২০টি অত্যাধুনিক ফ্ল্যাট, আই টি পার্ক, কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স। এতে ভূমিকম্প প্রতিরােধক, নাগরিক পরিষেবার সুবিধা, পার্কিং ইত্যাদি ব্যবস্থা থাকবে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে অনলাইন বুকিং-এর কাজ শুরু হচ্ছে। এছাড়া বিবেকানন্দ মার্কেট, কুঞ্জবন ও নন্দননগরে তিনটি জায়গায় হাইরাইজ বিল্ডিং-এ মােট ৬৫৬টি ফ্ল্যাট তৈরি করা হবে। দুটি ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। রামনগর এলাকায় সাধারণ লােকেদের জন্য লাইটহাউস সাবসিডাইজড স্কিমে ১০০০ ফ্ল্যাট তৈরি হবে। আগরতলা স্মার্ট সিটি লিমিটেডের কাজকর্ম সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে চলছে। ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টার চালু করা হয়েছে। এতে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করার কাজে, ট্রাফিক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ও শহরে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে এবং শহরের বন্যা পরিস্থিতির নজরদারি ইত্যাদিতে সুবিধা হচ্ছে। জাতীয় স্তরে আগরতলা শহর স্মার্ট সিটিগুলির মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে গত বছরের তুলনায় ৭৮ থেকে এবছর ৫৫-তম স্থানে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে প্রথম পৌঁছেছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতির বিকাশ এবং গুণীজনদের সম্মানিত করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার ৫টি নাগরিক সম্মান ঘােষণা করেছে। প্রতিবছর ২১ জানুয়ারি পূর্ণরাজ্য দিবসে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে বিশিষ্টজনদের সম্মানগুলাে প্রদান করা হবে। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ও সাফল্যের স্বীকৃতি হিসাবে বিশেষ অবদানের জন্য গুড সামারিটেন অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট স্টার্ট আপ, ৫টি সেক্টরে যথা কৃষি/উদ্যান, মৎস্যচাষ, পশুপালন, হস্ততাঁত ও হস্তকারুশিল্পজাত কুটির শিল্প/মৌমাছি পালন, শিল্পোদ্যোগ প্রতিটি ক্ষেত্রে বেস্ট এন্টারপ্রেনার অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট মোবাইল অ্যাপ অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট কো-অপারেটিভ অ্যাওয়ার্ড ও বেস্ট অ্যাকাডেমিক অ্যাওয়ার্ড মােট ৬টি সম্মাননা প্রদান করা হবে পূর্ণরাজ্য দিবসে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় জনসংখ্যার শূন্যতার নিরিখে নতুনভাবে আরও প্রায় ১৬ হাজার উপযুক্ত এপিএলভুক্ত পরিবারকে অন্তোদয় অন্ন যােজনা ও প্রায়ােরিটি হাউস হােল্ড ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হবে। এ ব্যাপারে মহকুমা শাসকগণ আইন অনুযায়ী প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্প রূপায়ণের স্তরে রয়েছে। টি টি এ এ ডি সির নামাকরণ তিপ্রা টেরােটোরিয়াল কাউন্সিল করার জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানাে হয়েছে। জনজাতিদের ঐতিহ্যবাহী রিসা-কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। জনজাতিদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং অন্যান্য উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় সম্বলিত ৮,৮০২.৭৪ কোটি টাকার একটি সার্বিক প্রকল্পের প্রস্তাব ভারত সরকারের গৃহমন্ত্রকের কাছে পাঠিয়েছে। ভারত সরকারের গৃহমন্ত্রকের অধীন ত্রিপুরার জন্য গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি ২০২০-এর ৩ জানুয়ারি প্রকল্পটিকে নৈতিক অনুমােদন দিয়েছে।

আসাম রাইফেলস মাঠে আয়ােজিত ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসের মূল অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে মুখ্যমন্ত্রী সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন। কুচকাওয়াজে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর ১০টি প্ল্যাটুন অংশগ্রহণ করে। এগুলি হচ্ছে বি এস এফ, আসাম রাইফেলস, সি আর পি এফ, টি এস আর প্রথম ব্যাটেলিয়ন, টি এস আর দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়ন, পশ্চিম জেলা পুরুষ প্লাটুন, পশ্চিম জেলা মহিলা প্লাটুন, ট্রাফিক পুলিশ, ফরেস্ট প্লাটুন এবং হোম গার্ড প্লাটুন। অনুষ্ঠানে কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য কয়েক জন পুলিশ আধিকারিককে পুরস্কৃত করা হয়।

২০১৯ সালের স্বাধীনতা দিবসের প্রেসিডেন্টস পুলিশ মেডেলে ভূষিত টি এস আর যষ্ঠ ব্যাটালিয়নের তৎকালীন কমান্ডেন্ট জিতেন্দ্র দেববর্মা, ২০১৯ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের হােমগার্ডস এন্ড সিভিল ডিফেন্স মেডেলে ভূষিত হােমগার্ডস ভলান্টিয়ার মহম্মদ লিয়াকত আলি ও সবিতা শর্মা, ২০১৯ সালের স্বাধীনতা দিবসের হোমগার্ড এন্ড সিভিল ডিফেন্স মেডেল ভূষিত স্মৃতি রাণী দেববর্মা (দেব)কে মেডেল পরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *