নয়াদিল্লি, ১২ আগস্ট (হি.স.): যে কোনও আগ্রাসন রুখে দিতে সক্ষম ভারতীয় সেনাবাহিনী। সংসদীয় কমিটির সামনে দাঁড়িয়ে সম্প্রতি এই কথাই জানিয়েছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। সম্প্রতি পূর্ব লাদাখে চৈনিক আগ্রাসন রুখতে তৎপর ভারতীয় সেনাবাহিনী।পাল্লা দিয়ে সহায়তা করে চলেছে বায়ু সেনা। সীমান্ত বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য কোর কমান্ডার পর্যায়ে ছয়বার বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু এখনো পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি।অন্যদিকে পূর্ব লাদাখে বিপুল পরিমাণে সামরিক সমাবেশ করেছে ভারত।আকাশপথে চিনকে জবাব দিতে ইতিমধ্যেই সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে মিগ ২৯, সুখোই ৩০ এম কে আই, মিরাজ ২০০০, জাগুয়ারের মতো যুদ্ধবিমান।চিনুক হেলিকপ্টার করে সেনাবাহিনীর যাবতীয় রসদ এবং সমরাস্ত্র আউটপোস্টগুলিকে সরবরাহ করা হচ্ছে।আকাশপথে যে কোনো ছোটখাটো হামলা রুখে দিতে চক্কর কেটে চলেছে কমব্যাট শ্রেণী অ্যাপাচি হেলিকপ্টার।পূর্ব লাদাকের বর্তমান পরিস্থিতি অবগত করাতে লোকসভার পিএসি কমিটির সামনে নিজের বক্তব্য পেশ করেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত।
এই কমিটির চেয়ারম্যান হলেন কংগ্রেসের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।জেনারেল রাওয়াত সংসদীয় কমিটির সামনে দাঁড়িয়ে জানিয়েছেন আলোচনার মাধ্যমে যে অচলায়তন তৈরি হয়েছে তা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।মে মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে থাকা সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বিপুল পরিমাণ সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে চীন। নিয়ম লঙ্ঘন করে তারা সেখানে নির্মাণ কাজও করে গিয়েছে। চীনের আর্মার্ড রেজিমেন্ট সেখানে মোতায়েন রয়েছে। বহুদূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানতে সক্ষম এমন সমরাস্ত্র সেখানে মোতায়েন করেছে চীন।যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বায়ুসেনা চিনকে পাল্টা জবাব দিতে সমস্ত ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।কমিটির অন্যান্য সদস্যরা জেনারেল রাওয়াত এর কাছ থেকে জানতে চান যে এখনো পর্যন্ত কতবার দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘাত বেধেছে। জেনারেল বিপিন রাওয়াত কমিটির সদস্যদের জানিয়েছেন যে যতক্ষণ না পর্যন্ত চীন তাদের সেনা সরাবে। ততদিন পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনী সেখানে প্রহরা দিয়ে যাবে। পিছু হটার কোনো প্রশ্নই নেই।