নয়াদিল্লি, ১১ আগস্ট (হি. স.): সংগঠন এবং দলের জন্য যা প্রয়োজন ছিল সেই কাজই করেছি বলে দাবি করেছেন শচীন পাইলট।রাজনীতিতে বিদ্বেষ এবং নেতিবাচক ভাবনার কোন স্থান নেই।রাজনৈতিক বার্তার আদান-প্রদান সুচারুভাবে হোক।রাজনৈতিক মতানৈক্য ব্যক্তিগত নয়, তা বরাবরই আদর্শগত বলে জানিয়েছেন তিনি। অশোক গেহলট তাকে অপদার্থ বলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শচীন পাইলট জানিয়েছেন, ‘আমি আমার পরিবারের কাছ থেকে নীতি ও আদর্শ শিখেছি।বিরোধীদলের মধ্যে আমার যদি কট্টর নিন্দুকও থাকে তবে তাদের উদ্দেশ্যে এমন ধরণের ভাষার প্রয়োগ করতাম না। অশোক গেহলট আমার থেকে বয়সে অনেক বড়। তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।কোনদিনই ব্যক্তিগত পর্যায় তার সঙ্গে আমার বিরোধ বাঁধেনি।মতানৈক্য হয়েছে কার্যপদ্ধতি নিয়ে।’ রাজস্থানে কংগ্রেসের বিস্তারের জন্য শচীন পাইলট যে বরাবর সচেষ্ট ছিল সেই দিকে ইঙ্গিত করে তিনি জানিয়েছেন, ‘ রাজস্থানে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা যখন ২১ ছিল।তখন রাহুল গান্ধী আমাকে কংগ্রেসকে রাজস্থানে শক্তিশালী করার জন্য যাবতীয় দায়িত্ব দিয়েছিলেন।সেই দায়িত্ব আমি সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছি। বিগত পাঁচ বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে একশোরও বেশি।দলীয় সদস্যরা যাতে যোগ্য মর্যাদা পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা আমার কর্তব্য।কার্যকর্তারা যে কাজ দেড় বছরে চেয়েছিল সেই কাজ রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার করে দেখাতে পারেনি।তাই সঠিক পথে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।সেই লক্ষ্যেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সমস্ত অভাব-অভিযোগ তাকে জানানো হয়েছে।’