নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ জুলাই৷৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত রোগীদের হোম আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে৷ এক্ষেত্রে রোগীকে বাড়িতেই থেকে চিকিৎসা নিতে হবে৷ এক্ষেত্রে অবশ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের পরামর্শকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে৷ রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকরা এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন মোতাবেক, এইচআইভি, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগে আক্রান্তদের হোম আইসোলেশনে রাখা হবে না৷ তাছাড়া ষাদের বয়স ষাটের বেশী এবং কিডনী, লিভার, হার্ট, ডায়াবেটিস ইত্যাদির সমস্যা রয়েছে সেক্ষেত্রেও দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে হোম আইসোলেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ এদিকে, চৌদ্দদিনের হোম আইসোলেশনের পর রোগী নিজেই স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখবেন এবং চিকিৎসকের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন৷ গাইডলাইন অনুযায়ী চৌদ্দদিনের হোম আইসোলেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর করোনা আক্রান্ত রোগীকে পুনরায় কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হবে না৷ প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে, দিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ তাতে করে দেখা যাচ্ছে অনেক সংক্রমিত রোগীরে কোন ধরনের উপসর্গ নজরে আসছে না, তারপরও তিনি করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন৷ এক্ষেত্রে চৌদ্দ দিনের জন্য হোম আইসোলেশনের সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত প্রতিটি রাজ্যের সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷

