আগরতলা, ২৮ জুলাই (হিঃসঃ)৷৷ বহুচর্চিত চাকরিচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষক মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ আজ মঙ্গলবার বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত এবং বিচারপতি বিনীত শরণের বেঞ্চ সব পক্ষের বক্তব্য শুনেছে৷ এ-বিষয়ে ত্রিপুরা সরকারের আইনসচিব বিশ্বজিৎ পালিত আশা প্রকাশ করে বলেন, খুব শীঘ্রই আদালত রায় ঘোষণা করবে৷
প্রসঙ্গত, সুপ্রিমকোর্ট ত্রিপুরা সরকারের কাছে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য হলফনামা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল৷ ত্রিপুরা সরকার ইতিমধ্যে হলফনামা জমা দিয়েছে৷ আজ আদালতে সব পক্ষের আইনজীবী নিজেদের বক্তব্যের স্বপক্ষে সওয়াল করেছেন৷
ত্রিপুরা সরকার চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের প্রশ্ণে সবর্োচ্চ আদালতে প্রয়োজন এবং ন্যায্যতা অনুসারে নিয়োগ বিধিমালায় অন্যান্য শর্তে শিথিলকরণের অনুমতি দেওয়ার জন্য ত্রিপুরা সরকার অনুমতি চেয়েছে৷ পাশাপাশি, বয়সের শিথিলকরণ, বিভিন্ন সরকারি দফতরে অনুমোদিত নন-টেকনিক্যাল শূন্য পদে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও সম্মতি চেয়েছে৷
হলফনামায় সুপ্রিমকোর্টের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, যোগ্যতার শর্ত পূরণে এবং বয়স যেখানে শিথিলযোগ্য প্রয়োজন সেখানে রাজ্য সরকার কর্তৃক অনুমোদিত গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি শূন্য পদে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের বিবেচনা ও নিয়োগের অনুমতি দিন৷ এমন-কি, কোনও বিজ্ঞাপন ছাড়াই সরাসরি যোগ্যতা অনুসারে শূন্য পদে তাঁদের নিয়োগ করতে ত্রিপুরা সরকারকে অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে৷ আজ আদালতে ওই আবেদনের উপর ত্রিপুরা সরকারের পক্ষে আইনজীবী সওয়াল করেছেন৷
আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথের দাবি, সমস্ত দিক চিন্তা করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মন্ত্রিসভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের প্রশ্ণে সুপ্রিমকোর্টে হলফনামা দেওয়া হয়েছে৷ সবর্োচ্চ আদালত বিবেচনা করে রায় দিলেই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ত্রিপুরা সরকার প্রস্তুত৷
আইনসচিব বিশ্বজিৎ পালিত বলেন, আজ সুপ্রিম কোর্ট রায়দান স্থগিত রেখেছে৷ তবে শীঘ্রই ইতিবাচক রায় ঘোষণা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷ মামলায় পক্ষভুক্ত চাকরিচ্যুত শিক্ষক বিজয়কৃষ্ণ পালও তাঁদের পক্ষেই আদালত রায় ঘোষণা করবে বলে আশাবাদী৷

