নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৭ জুলাই৷৷ আমরা ভাল আছি৷ আপনারা ফিরে যান৷ করোনা সংক্রমিতদের খুঁজে সমীক্ষায় গিয়ে এভাবেই গ্রামবাসীদের বাধার সম্মুখীন হন স্বাস্থ্য কর্মী-রা৷ দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে বসে থাকেন গ্রামের প্রমীলাবাহিনী৷ সমীক্ষায় আপত্তিতে তাঁরা এতটাই অনড়, জেলাশাসকও তাদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন৷ খোয়াই জেলায় তেলিয়ামুড়া মহকুমায় মুঙ্গিয়াকামী ব্লক-র অধীন রঙ্গিটিলা গ্রামের বাসিন্দারা আজ নিজেদের গ্রামে সমীক্ষা করতে দেননি৷
ত্রিপুরায় করোনা সংক্রমিতের খোঁজে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা শুরু হয়েছে৷ এমনই সমীক্ষায় গিয়ে রঙ্গিটিলার গ্রামবাসীদের বাধার সম্মুখীন হন স্বাস্থ্য কর্মীরা৷ এবিষয়ে চিকিৎসক ডাঃ দেবলীনা নাথ বলেন, আজ টিম নিয়ে রঙ্গিটিলা গ্রামে সমীক্ষার জন্য যাচ্ছিলাম৷ কিন্তু, পথে গ্রামবাসীরা আমাদের বাঁধা দেন৷ ফলে, আমরা গ্রামে ঢুকতে পারছি না৷ তিনি বলেন, গ্রামে কারোর করোনার সংক্রমণ হয়নি৷ তাই, স্বাস্থ্য কর্মীদের ফিরে যেতে বলেছেন তাঁরা৷
এদিন গ্রামের প্রমীলা বাহিনী সমীক্ষায় বাঁধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে চাকমাঘাট-নোনাছড়া পথ অবরোধ করেন৷ খবর পেয়ে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান৷ পুলিশের পদস্থ আধিকারিকও অবরোধস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন৷ কিন্তু, তারা সমীক্ষায় আপত্তিতে অনড় থাকেন৷ প্রায় ৪ ঘন্টা পর খোয়াই জেলা শাসক স্মিতা মল সেখানে যান৷ মহিলাদের সাথে কথা বলেন৷ কিন্তু, তাদের কোনভাবেই আশ্বস্থ করতে পারেননি৷
গ্রামবাসীদের মধ্যে জনৈক মহিলা বলেন, ত্রিপুরায় করোনা নেই৷ সকলেই হাতে তালি দিয়ে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন৷ তাছাড়া, আমাদের গ্রামে বাইরে থেকে কেউ আসেননি৷ এমনকি, কেউ বাইরে যাননি৷ তাই, আমরা ভাল আছি৷ কোন সমীক্ষার প্রয়োজন নেই, জোর গলায় দাবি করেন তিনি৷ অবশেষে, তাদের অনড় অবস্থানের কাছে নতি স্বীকার করে গ্রামে কোন সমীক্ষা হবে না বলে আশ্বস্থ করে ফিরে যান জেলা শাসক৷
এবিষয়ে খোয়াই জেলা শাসক স্মিতা মল বলেন, করোনা সমীক্ষায় গ্রামবাসীদের আপত্তির কারণ খুঁজে পেলাম না৷ তবে, তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি৷ কিন্তু, তারা কোনভাবেই রাজি নন৷ তাছাড়া, জোর করে সমীক্ষা করতে চাইছি না৷ তাই, অবরোধ তুলে দিয়ে ফিরে যাচ্ছি, হতাশার সুরে বলেন তিনি৷

