নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ জুলাই৷৷ করোনার ক্রমবর্দ্ধমান গতি ত্রিপুরার কপালে গভীর চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে৷ কারণ, সংক্রমণ বৃদ্ধির সাথে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে৷ তাই আজ দিনভর মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রশাসনিক শীর্ষ কর্মকর্তা এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা বৈঠক করেছেন৷ সূত্রের খবর, কঠোর লকডাউনের পথে এগিয়েছে ত্রিপুরা সরকার৷ অন্তত টানা সাতদিন সম্পূর্ণ লকডাউন লাগু হতে চলেছে৷ এমনটাই এদিনের বৈঠকে আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে৷ এদিকে, ত্রিপুরা হাইকোর্ট এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে আগামী ৯ আগষ্ট পর্য্যন্ত বর্তমান কার্য পদ্ধতির সময়সীমা বাড়িয়েছে৷ কেবলমাত্র জরুরী ভিত্তিতে মামলায় ভিডিও কনফারেন্সে শুনানী হবে৷ এমনকি জেলা আদালতও একই পদ্ধতি মেনে কার্য্য সম্পাদন করবে৷
রাজ্যে হঠাৎ করে করোনা ভয়ঙ্করভাবে থাবা বসিয়েছে৷ বিশেষ করে রেপিড এন্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে৷ টানা দুইদিনে চার শতাধিক করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে৷ অবশ্য, এন্টিজেন কিট ছাড়াও আরটিপিসিআর কিটের মাধ্যমেও করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলছে৷ এক্ষেত্রে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাতেও বৃদ্ধি পেয়েছে৷ স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টি গভীর চিন্তাজনক বলেই মনে করা হচ্ছে৷ এরই মধ্যে পরপর চারজনের মৃত্যু রাজ্যবাসীর চিন্তা আরও বাড়িয়েছে৷ ফলে, জরুরী ভিত্তিতে পরিস্থিতির পর্য্যালোচনা করেছে রাজ্য সরকার৷
আজ সকাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, দফায় দফায় স্বাস্থ্য দপ্তর, স্বরাষ্ট্র দপ্তর, খাদ্য দপ্তর এবং রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের সাথে বৈঠক করেছেন৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দপ্তর ও খাদ্য দপ্তরকে প্রয়োজনীয় সমাগ্রীর পর্য্যাপ্ত মজুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ বিশেষ করে রেশনে সামগ্রী এবং কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিট ও আনুসঙ্গিক সামগ্রী মজুত করতে বলা হয়েছে৷ কারণ, রাজ্য সরকার টানা লকডাউনের পরিকল্পনা নিয়েছে৷ সূত্রের দাবি, এদিনের বৈঠকে লকডাউনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে৷ তাছাড়া, লকডাউনের উপকারিতা এবং এর ফলে সৃষ্ট সমস্যা নিয়েও বিস্তারিত চর্চা হয়েছে৷ তাতে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব না হলেও লকডাউন লাগু করার জন্যই সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে৷
সূত্রের দাবি, আগামীকাল পুণরায় পরিস্থিতি পুণরায় পর্যালোচনা করা হবে৷ তাছাড়া, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে বিস্তারিত হবে৷ এদিকে, ত্রিপুরা হাইকোর্ট আজ এক নির্দেশ জারি করে ২১ জুলাই থেকে ৯ আগষ্ট পর্য্যন্ত বর্তমান কার্যপদ্ধতি মেনেই আদালতের কাজকর্ম চালানোর কথা বলেছে৷