একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকেও নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা মমতার

কলকাতা, ২১ জুলাই (হি. স.): আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি ও করোনার সঙ্গে মোকাবিলা করতে গিয়ে রাজ্যের শাসক দল নাগরিকত্ব আইনের লড়াই যে ভুলে যায়নি সেকথা ফের একবার একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনার জেরে এবার তৃণমূলের শহীদ স্মরণে করতে হয়েছে একেবারেই ভার্চুয়াল ভাবে। এবছর তাই অনলাইনে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার মনে করলেন, “এনআরসি এনপিআর লড়াই ভুলে যাইনি। বহিরাগতরা বাংলা চালাতে পারবেনা। তৃণমূলকে এত দুর্বল ভাববেন না।”

 আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ শহীদ স্মরণে পালন রাজ্য শাসকদলের। তাই এই মঞ্চ থেকেই সর্বাত্মকভাবে তৃণমূল সুপ্রিমো চেষ্টা করেছেন জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করার এবং একই সঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছেন। এদিন সভার প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে মুখ্যমন্ত্রী একের পর এক বিষয় তুলে নিশানা করেন বিজেপিকে। বলেন, “ভাববেন না যে, কোভিড চলছে বলে এনসিআর ভুলে যাব। এনআরসি-র লড়াই আমরা ভুলিনি। দিল্লিতে কীভাবে খুন করা হয়েছিল। মানুষে-মানুষে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে”।

 কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দালন চালিয়ে যায় তৃণমূল।এনআরসি ও সিএএ বাতিলের দাবিতে একটানা আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও এরই মধ্যে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় লাগাতার সেই আন্দোলনে ভাটা পড়ে। কিন্তু সেই আন্দোলন সাময়িকভাবে স্তিমিত হয়ে গেলেও তা যে একেবারেই নিভে যায়নি সে কথাই এদিনের মঞ্চ থেকে মনে করালেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কেন্দ্র সরকার কে নিশানায় রেখে বলেন, “কেন্দ্রে ক্ষমতা আছে বলে কি গায়ের জোর দেখাচ্ছেন। আন্দোলন করতে গেলে আক্রমণ করছেন। এনআরসি এনপিআর লড়াই ভুলে যাইনি। মানুষকে প্রতিবাদ করতে দেন না। বহিরাগতরা বাংলা চালাতে পারবেনা। তৃণমূলকে এত দুর্বল ভাববেন না। আমরা ইতিমধ্যেই নাগরিক আমাদের আবার কি নাগরিকত্ব দেবেন। বাইরে থেকে যারা আসবে তারা নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হলে তবেই নাগরিকত্ব পাবেন। 

মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, “শুধু মিথ্যে কথা। কখনো হিন্দু মুসলিম এর যুদ্ধ লাগিয়ে দেওয়া, রাজবংশীদের সাথে তপশিলি অশান্তি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখানে সারাক্ষণ বিনাশে কথা, সর্বনাশের কথা বলা হয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *