নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ জুলাই৷৷ ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ১৪ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে বর্তমানে ১২ জন ভগৎ সিং যুব আবাসে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ তাঁদের চিকিৎসায় পৃথক ব্যবস্থার জন্য জিবি হাসপাতালের সুপারের কাছে আজ ডেপুটেশন দিয়েছে সারা ত্রিপুরা সরকারি চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশন (এটিজিডিএ)৷ সংগঠনের সম্পাদক ডাঃ রাজেশ চৌধুরী বলেন, ভগৎ সিং যুব আবাসে অন্য করোনা আক্রান্তের সাথে একত্রে চিকিৎসকদের চিকিৎসা চলছে৷ তাঁদের পৃথক স্থানে চিকিৎসার ব্যবস্থার আবেদন জানিয়েছি৷
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় করোনা-র প্রকোপ লাগামহীন ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ সারা রাজ্যেই করোনা ছড়িয়ে পড়েছে৷ স্বাস্থ্য কর্মী, নিরাপত্তা কর্মী, আইনজীবী, শিক্ষক সকলেই করোনা-য় আক্রান্ত হচ্ছেন৷ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মী এবং সুরক্ষা কর্মীরা৷ করোনা-র সাথে যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় ১৪ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে দুই জন সুস্থ হয়েছেন৷
আজ এটিজিডিএ জিবি হাসপাতালের সুপারের দেখা করে ডেপুটেশন দিয়েছে৷ এ-বিষয়ে সংগঠনের সম্পাদক ডাঃ রাজেশ চৌধুরী বলেন, ভগৎ সিং যুব আবাসে কিছুদিন ধরে সমস্যা হচ্ছে৷ বিশেষ করে খাবার, পানীয় জলের সমস্যায় করোনা আক্রান্তরা ভোগান্তির মুখে পড়ছেন৷ তাঁর দাবি, প্রতিনিয়ত চিকিৎসকরা রোগী দেখতে যান না এবং এ সব হচ্ছে ভগৎ সিং যুব আবাসের দায়িত্বে যিনি ছিলেন তাঁর ব্যস্ততার কারণে৷ তিনি বলেন, একজন চিকিৎসক ভগৎ সিং এবং জিবি হাসপাতালে একত্রে দায়িত্বে থাকার কারণে সময় পেতেন না৷ তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, একজন চিকিৎসক প্রতি ১৫ দিনের জন্য শুধু ভগৎ সিং যুব আবাসের দায়িত্বে থাকবেন৷
এদিন তিনি বলেন, বর্তমানে ভগৎ সিং-এ ১২ জন চিকিৎসক ভরতি রয়েছেন৷ তাঁদের অন্য রোগীদের সাথেই রাখা হয়েছে৷ তাঁর মতে, করোনা-র প্রথমসারির যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসকদের সম্মান দেখানো আমাদের দায়িত্ব৷ তাই, চিকিৎসকদের পৃথক স্থানে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা হোক, দাবি জানিয়েছি৷ তিনি বলেন, আপাতত ভগৎ সিং-এ আলাদা ঘরের ব্যবস্থা নেই৷ তাই, আগামীকাল স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে ওই আবেদন জানাবো৷ তাঁর দাবি, ভবিষ্যতেও চিকিৎসকরা করোনা আক্রান্ত হবেন৷ তাঁদের পৃথক স্থানে রেখে চিকিৎসার স্থায়ী ব্যবস্থা হোক৷