জয়পুর, ১৩ জুলাই (হি. স.): মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের প্রতি সর্বসম্মতিক্রমে আস্থা জানাল রাজস্থানের কংগ্রেস পরিষদীয় দল। ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টা করে রাজ্য সরকারকে ফেলে দেওয়ার প্রচেষ্টা করছে বিজেপি এমন অভিযোগ তুলে প্রস্তাবও এনেছে কংগ্রেস পরিষদীয় দল।
সোমবার পরিষদের দলের বৈঠক ডাকে কংগ্রেস। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের ১০৭ জন বিধায়ক।বৈঠকে একাধিক প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস পরিষদীয় দল মনে করে, অগণতান্ত্রিক উপায়ে কংগ্রেস শাসিত রাজ্য সরকারকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কংগ্রেসের কোনও নেতা বা কর্মী দল বিরোধী কাজ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অর্থ এবং রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করছে বিজেপি। তাই বিধায়ক কেনাবেচার মতন ঘৃণ্য কাজে অবতীর্ণ হয়েছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেসের জনমোহিনী কার্যকলাপের জন্যেই ভয় পেয়ে এই পথ অবলম্বন করেছে বিজেপি।রাজ্যসভা নির্বাচন থেকে কোনরকম শিক্ষা না নিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। গণতন্ত্রের ওপর কুঠারাঘাত করে রাজস্থানের ৮ কোটি জনতাকে অপমান করেছে বিজেপি। সর্বভারতীয় দলীয় সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর প্রতি আস্থা দেখিয়ে পরিষদীয় দল মুখ্যমন্ত্রত অশোক গেহলটের প্রতি সর্বসম্মতিক্রমে নিজেদের সমর্থন জানিয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে এ দিনের পরিষদীয় দলের বৈঠকে অশোক গেহলট এর সমর্থনে ১০৭ জন কংগ্রেস বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যের জয়পুর শহরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, দীর্ঘদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট এর মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়েছিল। দুই নেতার মধ্যে দূরত্ব বাড়ছিল। গেহলটের দাবি ছিল বিধায়ক কেনাবেচা করে কংগ্রেস সরকার ফেলে দিতে চাইছে বিজেপি। বর্তমানে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার জন্য দিল্লিতে রয়েছেন শচীন পাইলট।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া জানিয়েছেন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য শচীন পাইলট।কিন্তু অশোক গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।সেখান থেকেই সংঘাতের শুরু। এর ফল এখন প্রকাশ্যে আসছে।রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার বিধানসভায় সংখ্যালঘু হয়ে গিয়েছে।