স্বপ্ণ সত্যি করে ১৮ জুলাই রাজ্যেআসছে প্রথম জাহাজ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ জুলাই৷৷ অবশেষে দীর্ঘ দিনের স্বপ্ণ সত্যি হতে চলেছে৷ জলপথে ত্রিপুরায় পণ্য আসবে৷ আজ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব জানিয়েছেন, স্বপ্ণ সত্যি করে জাহাজে পণ্য আসবে ত্রিপুরায়৷ ১৪ জুলাই হলদিয়া বন্দর থেকে ১৮ জুলাই সোনামুড়ায় পৌছাবে ছোট জাহাজ৷


মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ১৪ জুলাই হলদিয়া বন্দর থেকে রড বোঝাই ছোট জাহাজ ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবে৷ ১৮ জুলাই ওই জাহাজ ত্রিপুরায় সোনামুড়া জেটি-তে এসে পৌছাবে৷ তাঁর দাবি, করোনা-র প্রকোপের মাঝেও স্বপ্ণ পূরণ সম্ভব হয়েছে৷ ত্রিপুরার উন্নয়নে তা এক মাইল ফলক হিসেবে বিবেচিত হবে৷ তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, মডেল ত্রিপুরা গঠনে এই সাফল্য বড় উদাহরণ হিসেবে প্রস্তুত করবে৷


প্রসঙ্গত, গত ২০ মে ভারত ও বাংলাদেশের নৌ যোগাযোগের পরিসর বৃদ্ধিতে দুটি নতুন রুট চালুর সাথে দুই দেশের পাঁচটি করে নৌবন্দরকে ‘পোর্ট অব কল’ ঘোষণা করা হয়েছে৷তাতে, ভারতের সঙ্গে নৌ রুটের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দশটি৷ এছাড়া আগের ছয়টি নিয়ে ‘পোর্ট অব কল’ বেড়ে হয়েছে ১১টি৷ নতুন দুটি নৌরুট হল- ত্রিপুরার সোনামুড়া-দাউদকান্দি এবং দাউদকান্দি-সোনামুড়া৷ নতুন পাঁচটি ‘পোর্ট অব কল’ হল- ভারতের ধুলিয়ান, ময়া, কোলাঘাট, সোনামুড়া ও জগিগোপা এবং বাংলাদেশের রাজশাহী, সুলতানগঞ্জ, চিলমারী, দাউদকান্দি ও বাহাদুরাবাদ৷ নতুন পাঁচটি পোর্ট অব কল ঘোষণা হওয়ায় উভয় দেশের পণ্য পরিবহনকারী নৌযানগুলো ওই বন্দরে নোঙর করে মালামাল ওঠানো-নামানো এবং জ্বালানি নিতে পারবে৷ ওইদিন দ্বিতীয় সংযোজনী পত্রে স্বাক্ষর করেন ঢাকাস্থিত ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ এবং বাংলাদেশ নৌপরিবহন মন্ত্রকের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন চৌধুরী৷


এদিকে, মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে সোনামুড়ায় ভাসমান জেটি তৈরি করে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে ভারতের অন্তর্দেশীয় নৌ পথ কর্তৃপক্ষ৷ প্রসঙ্গত, সোনামুড়া শ্রীমন্তপুর নির্মীয়মাণ জেটি থেকে মূল সড়ক সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো দ্রুত নির্মাণ করার জন্য সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তিনি বাংলাদেশের সাথে নদীপথে পণ্য পরিবহণ দ্রুত শুরু করার উপর জোর দিয়েছেন৷ এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী গােমতী নদীর গভীরতা বাড়ানাের বিষয় দপ্তরকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেন যাতে শীতকালে নদীর নাব্যতা বজায় থাকে৷