কন্টেইনমেন্ট জোনে খাদ্যের সংকট তীব্র, আন্দোলনে স্থানীয়রা

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ৮ জুলাই৷৷ কমলাসাগর বিধানসভার মিয়াপাড়া এলাকায় কুড়িটি পরিবারকে যার মধ্যে সদস্য সংখ্যা ৮৫ জন গত ১৮ দিন পূর্বে কন্টাইন্মেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করেছিল রা সিপাহী জলা জেলা সমাহর্তা৷ কারণ ওই এলাকা থেকে এক স্বাস্থকর্র্মী করুণা পজিটিভ এসেছিল৷ পরবর্তী সময়ে সেই স্বাস্থ্যকর্মীকে কোবিড সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেই স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবারের সমস্ত সদস্যদের নমুনা নেওয়া হয়৷ পরে প্রত্যেকের নমুনায় নেগেটিভ আসে৷


কিন্তু সমাহর্তা কোন ঝুঁকি না নিয়ে ওই এলাকার কুড়িটি পরিবারকে কন্টাইন্মেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করেছিল৷ আর বুধবার ছিল কন্টেন মেন্ট জোনের ১৮ তম দিন৷ আর সেই দিন সেই কুড়িটি পরিবার বাঁশের ব্যারিকেডের ভেতরে গেটের সামনে আন্দোলনে বসে৷ তাদের দাবি কনটেইনমেন্ট জুন তুলতে হবে কারণ যে স্বাস্থ্যকর্মীর করুণা পজিটিভ এসেছিল সে স্বাস্থ্যকর্মী সুস্থ হয়ে বাড়িতে এসেছে৷ এমনকি যাদের নমুনা নেওয়া হয়েছিল সকলেই নেগেটিভ এসেছে৷ তারপরেও ১৪ দিন পেরিয়ে ১৮ দিন হতে চলেছে৷ কেন কনটেইনমেন্ট জোন তোলা হয়নি৷ আরও অভিযোগ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত সেই কুড়িটি পরিবারের কোন খোঁজখবর নেয়নি৷ এমনকি ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকেও আজ পর্যন্ত কোন কিছু দেওয়া হয়নি৷ আরও অভিযোগ ওই কুড়িটি পরিবারের মধ্যে ১৭ টি পরিবার রয়েছে অতি গরিব৷ যার ফলে পরিবারগুলি অসহায় অবস্থায় আছে৷

আরও অভিযোগ যদি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কন্টাইন্মেন্ট জোন তোলা না হয় তাহলে প্রত্যেকটি পরিবারের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারের পক্ষ থেকে৷ এসব দাবি নিয়ে কুড়িটি পরিবার আন্দোলন চালিয়ে যায় দীর্ঘক্ষন৷ আরও অভিযোগ ওই পরিবারগুলি বর্তমানে বের না হতে পেরে জমির কাজ করতে পারছে না৷ এমনকি রাবার বাগানেও কাজ করতে পারছে না৷ এখন দেখার বিষয় প্রশাসন সেই পরিবারগুলির দিকে তাকায় কি না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *