নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ জুলাই৷৷ মহিলারাও এখন ব্যবসায় এগিয়ে আসছেন৷ আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ার ক্ষেত্রে মহিলাদের এগিয়ে আসার জন্য সওয়াল করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তাঁর কথায়, মহিলারা ব্যবসায় সফল হতে পারলেই তারা আর্থিকভাবে স্ব-শক্তিকরণ হতে পারবেন৷
আজ আগরতলা টাউন হলে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যােজনায় দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত স্ব-উদ্যোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ-কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরা-কে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্ব-নির্ভর করার লক্ষ্যে পর্যটন, ফল প্রক্রিয়াকরণ, বাঁশবেত শিল্প স্থাপন, রাবার, মৌমাছি পালন, জৈবচাষ, প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পে ভর্তুকিতে ঋণ প্রদান, আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ত্রিপুরা সরকার কাজ করছে৷ এদিকে লক্ষ্য রেখে স্ব-উদ্যোগীরা কাজ করলে নিশ্চয়ই আর্থিকভাবে স্ব-নির্ভর হতে পারবেন৷ দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্ব-উদ্যোগী রাই মডেল ত্রিপুরা ভবিষ্যৎ তৈরি করবে৷
এই মতবিনিময় সভায় সফল স্ব-উদ্যোগীরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করে তাদের অভিজ্ঞতা ও সাফল্যের বিষয় তুলে ধরেন৷ মতবিনিময় সভায় মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের যুবক-যুবতীদের স্ব-উদ্যোগী হওয়ার জন্য শুধু পরামর্শ দিলেই হবে না, এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া ত্রিপুরা সরকারের দায়িত্ব৷ বর্তমান রাজ্য সরকারের ইতিবাচক মনােভাবের ফলে রাজ্যে এখন মহিলারাও ব্যবসায় এগিয়ে আসছেন৷ মহিলারা ব্যবসায় সফল হতে পারলেই তারা আর্থিকভাবে স্ব-শক্তিকরণ হতে পারবেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পর্যটন একটি বড় মাধ্যম হতে পারে৷ রাজ্য সরকার সেদিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন স্থানগুলির উন্নয়নে কাজ করছে৷ স্ব-উদ্যোগী এর স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে টুরিস্ট গাইড, ট্যুর অপারেটর ও হােটেল ম্যানেজমেন্টের প্রশিক্ষণ নিয়ে পর্যটনক্ষেত্রে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারনের জন্য এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷
তিনি আরও বলেন, রাজ্যে আগামী ৫ বছরে আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প ২৫০০ টি মাইক্রো ফুট প্রসেসিং ইউনিট স্থাপন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ তাতে বড় মাত্রায় রােজগারের সুযােগ সৃষ্টি হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী আরােও বলেন, রাজ্যে সবচেয়ে বড় আয় হয় রাবার ক্ষেত্র থেকে৷ রাজ্যে বর্তমানে ৮৫ হাজার মেট্রিকটন রাবার উৎপাদন হচ্ছে৷ রাবারকে ভিত্তি করেও স্ব-উদ্যোগীরা তাদের আয় বৃদ্ধি করার সুযােগ পাবেন৷ মৌমাছি পালনেও রাজ্য সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে৷ রাজ্যে মৌমাছি পালন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫৮৬টি ইউনিট স্থাপন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ এছাড়াও খাদি গ্রামোদ্যোগ মাধ্যমে ১৬ হাজার সুবিধাভোগীকে মৌমাছি পালনে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য ৬২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে৷
2020-07-04