নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ২৫ জুন৷৷ উত্তর ত্রিপুরার দক্ষিণ কদমতলা এলাকায় নেশা বিরোধী অভিযানে ৯ হাজার নেশাজাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আটক ২ নেশা কারবারি৷ধৃত নেশা কারবারি আকদ্দস আলি(৫৫) এবং অমিত দাস (২৯)৷ অমিতের বাড়ি খোয়াইয়ের দূর্গানগর এলাকায়৷ উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের বাজার মূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা৷ কদমতলা থানার পুলিশ এন ডি পি এস ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে৷
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধর্মনগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাজীব সূত্রধর চুরাইবারি থানার ওসি জয়ন্ত দাস, কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণ সরকারকে সাথে নিয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী সহযোগে কদমতলা থানাধীন দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ডে নেশা বিরোধী অভিযান চালান৷ দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ডের আকদ্দস আলির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ঘর থেকে নেশাজাতীয় ৯ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ৷ উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের বাজারমূল্য প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা৷ সাথে আটক করা হয় বাড়ির মালিক আকদ্দস আলী (৫৫) ও অমিত দাস ওরফে সাগর (২৯) নামের এক যুবককে৷ জানা গেছে সাগরের বাবার নাম অমর দাস৷ বাড়ি খোয়াইয়ের দুর্গানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নং ওয়ার্ডে৷ সাথে আটক করা হয় হিরো কোম্পানির এক্সট্রিম ২২০ সিসির নম্বরবিহীন একটি বাইক৷ উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট ,বাইক ও আটক দুই ব্যক্তিকে বর্তমানে কদমতলা থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে৷আগামীকাল তাদের ধর্মনগর জেলা আদালতে প্রেরণ করবে কদমতলা থানার পুলিশ৷
এদিকে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাজিব সুত্রধর জানান,জেলা পুলিশ সুপারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নেশাজাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট সহ দুই নেশা কারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছেন৷ কিন্তু এই নেশা পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত সাদ্দাম হোসেন অর্থাৎ ধৃত আকদ্দস আলির ছেলেকে পুলিশ খুঁজে পায়নি৷ খুব শীগ্রই এই নেশা কারবারের সাথে জড়িত সাদ্দাম হোসেনকে জালে তুলতে সক্ষম হবে পুলিশ৷ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আরো জানান, উদ্ধারকৃত ৯ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটের বাজার মূল্য প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা৷পাশাপাশি কদমতলা থানার পুলিশ এনডিপিস ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে শুরু করে দিয়েছে৷
অপরদিকে জেলা পুলিশ সুপার ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের উদ্যোগে কদমতলা থানা এলাকায় নেশা বিরোধী অভিযান করে বিশাল সাফল্য পেলেও স্থানীয় থানার ওসি মহোদয় ভাত ঘুমে৷ মুখে বড় বড় বুলি উড়ালেও কাজের বেলায় যে অশ্ব ডিম্ব প্রসব করেন ওসি বাবু তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ দীর্ঘদিন থেকে কদমতলা থানা এলাকায় নেশা কারবারীদের বাড়বাড়ন্ত বৃদ্ধি হলেও এসবে নাক না গলিয়ে মর্জিমাফিক থানা পরিচালনা করছেন ওসি মহোদয়৷বিশেষ সূত্রে জানা যায় গোয়েন্দা পুলিশ বারবার কদমতলা থানার ওসি বাবুকে নেশা কারবারিদের ব্যাপারে অবগত করলেও গোয়েন্দা পুলিশের কোন কথা কর্ণপাত করেননি৷ অবশেষে উত্তর জেলার পুলিশ সুপারের গোপন সূত্রের ভিত্তিতে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নেশা বিরোধী অভিযান চালিয়ে সাফল্য কুড়াতে সক্ষম হন৷ সুতরাং স্থানীয় এলাকায় ওসি বাবুর ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যে জোর চর্চা শুরু হয়েছে৷ এখন দেখার বিষয় উত্তর জেলার পুলিশ আধিকারিকগন কদমতলা থানার দিকে কতটুকু দৃষ্টিপাত করেন৷