BRAKING NEWS

মিজোরামে ৫.৫ প্ৰাবল্যের ভূমিকম্প, বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি, হতাহত নেই, খোঁজ নিয়ে সহায়তার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

আইজল, ২২ জুন (হি.স.) : মাত্র বারো ঘণ্টার ব্যবধানে ফের মিজোরামে ভূমিকম্প হয়েছে আজ সোমবার ভোরে। সোমবার ভোর ৪:১০:৫ মিনিটে ৫.৫ প্ৰাবল্যের ভূমিকম্পে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কোনও হতাহতের খবর নেই বলে রাজ্য ও জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

এদিকে ভূমিকম্পের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার সঙ্গে কথা বলে সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন। যে কোনও প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকার মিজোরাম সরকারকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, মুখ্যমন্ত্রীকে এই আশ্বাসও দিয়ে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর আজ সকাল ১০:০৩ মিনিটে টুইট করে এই তথ্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মিজোরামের ভারত-মায়ানমার সীমান্ত জেলা সদর চাম্পাই থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ পশ্চিমের জোকহাউথা এলাকা। ভূপৃষ্ঠের ২০ কিলোমিটার গভীরে এপিএফ ২৩.২২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২.২৪° পূর্বে ছিল ভূকম্পনের উৎসস্থল।

প্রকৃতির রোষে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে। একে করোনা সংকট, তার মধ্যে বন্যা, এর মধ্যেই প্রায় ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে আজ ফের সংঘটিত হয়েছে ভূমিকম্পের মতো ঘটনা। গতকাল রবিবার মিজোরামে মাঝারি তীব্রতার ভূমিকম্প হয়েছে বিকেল ৪:১৫ মিনিটে। ভূমিকম্পের রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৫.১। ওই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মিজোরামের রাজধানী আইজলের সংলগ্ন ২৫ কিলেমিটার পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার গভীরে এপিএফ ২৫.৬° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.৬° পূর্বে।

এদিকে, গতকাল বিকেলের ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আজ রাজধানী আইজলের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি একতল ও দ্বিতল বাড়ির দেওয়ালে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। কয়েকটি গিৰ্জার দেওয়াল ও ভিতরের সিলিং ভেঙে পড়েছে। এছাড়া নানা স্থানে রাস্তায়ও ধরেছে ফাটল। করোনা সহ সার্বিক পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে।

গতকাল এবং আজ, ভূমিকম্পের উৎসস্থল মিজোরাম হওয়ায় ভূমিকম্পের ধাক্কা লেগেছে দক্ষিণ অসমের শিলচর এবং সংলগ্ন এলাকায়।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, এর আগে ১৮ জুনও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্প হয়েছে। ওইদিনও মিজোরামের চাম্পাই জেলায় ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮০ কিলোমিটার ভেতরে কম্পনের উৎসস্থল ছিল বলে জানিয়েছিল গুয়াহাটির আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্র। এছাড়া গত ২ জুন ভারতীয় সময় সকাল ৭:১৪ মিনিটে ৩.৯ প্রাবল্যের ভূমিকম্প হয়েছিল মণিপুরে। সেদিনের ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল রাজ্যের পূর্ব উখরুল জেলার ভূপৃষ্ঠের ১১ কিলোমিটার গভীরে। এর আগে ২৫ মে রাত ৮টা ১২ মিনিটে ৫.৪ তীব্রতার ভূমিকম্প হয়েছে অসম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরায়ও ভূমিকম্প হয়েছে। সেদিনের ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর জেলা এবং মায়ানমার সীমান্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *