হাফলং (অসম), ১৭ জুন (হি.স.) : বৃহস্পতিবার থেকে চলবে লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইনে পণ্যবাহী ট্রেন। এর পর ২২ জুন থেকে শুরু হবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। এদিকে ১৭ দিনের মাথায় আজ বুধবার লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইনে ধস বিধ্বস্ত মুপা ও মাইবাঙের মধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে চলানো হয়েছে লাইট ইঞ্জিন।
মঙ্গলবার উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জীব রায়, লামডিং ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার রাম বাহাদুর রাই সহ রেলের পদস্থ অফিসাররা পাহাড় লাইনের মুপা ও মাইবাঙের ধস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। নতুন করে রেলওয়ে ট্র্যাক বসানোর কাজও দেখেছেন তাঁরা। এর পরই আজ বুধবার পরীক্ষামূলক ভাবে লাইট ইঞ্জিন চালানো হয়েছে।
গতকাল তাঁরা মুপা ও মাইবাঙের ধস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে যাওয়ার পর রাতেই ১৮০ মিটার অংশে ট্র্যাক লিঙ্কিঙের কাজ শেষ করে নেন রেল কর্মীরা। তার পর আজ দুপুরের দিকে বেশ কয়েকবার মুপার ধস বিধ্বস্ত এলাকা দিয়ে নির্বিঘ্নে পারাপার হয়েছে লাইট ইঞ্জিন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা থেকে ট্র্যাক সার্টিফিকেট দেওয়ার পর পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল। এর পর ২২ জুন সোমবার থেকে শুরু হবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। প্রথমে এদিন আগরতলা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আনন্দবিহারের উদ্দেশে রওয়ানা হবে রাজধানী এক্সপ্রেস, জানান উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের সিনিয়র জনসংযোগ আধিকারিক নৃপেন্দ্র ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, তবে স্থানীয় ভাবে কোনও ট্রেন চালানোর কোনও নির্দেশ এখনও আসেনি রেল বোর্ড থেকে। ধস বিধ্বস্ত মুপায় আগের জায়গা থেকে ৩০ মিটার দূরে ১৮০ মিটার এলাকা জুড়ে নতুন করে ট্র্যাক বসানোর কাজ শেষ হওয়ার পর ট্র্যাক পর্যবেক্ষণ করা সহ ট্র্যাক বসে যায় কিনা বা কোনও কারিগরি ত্রুটি বিচ্যুতি দেখা দেয় কিনা তা পরখ করে দেখতেই বুধবার বেশ কয়েকবার মুপায় নতুন করে বসানো রেল ট্র্যাকের উপর দিয়ে লাইট ইঞ্জিন রোল করানো হয়। আগামীকাল সকালে ট্র্যাক সার্টিফিকেট মিললে শুরু হবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল। এর পর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২২ জুন সোমবার আগরতলা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আনন্দবিহারের উদ্দেশে রওয়ানা হবে রাজধানী এক্সপ্রেস।
উল্লেখ্য গত ১ জুন রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টির জেরে মুপা ও মাইবাঙের মধ্যবর্তী ৫৭/০ এবং ৫৭/২ কিলোমিটার অংশে ধস নেমে লামডিং-বদরপুর ব্রডগেজ রেলপথে গত ১৭ দিন থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে বরাক উপত্যকার তিন জেলার পাশাপাশি ত্রিপুরা, মণিপুর ও মিজোরামের মানুষ প্রচণ্ড দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। এমন-কি বরাক উপত্যকা সহ এই রাজ্যগুলিতে পণ্য সামগ্রীবাহী বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী ট্রেন বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছে। তাই পাহাড় লাইনে দ্রুত রেল পরিষেবা সচল করে তুলতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন নৃপেন্দ্র ভট্টাচার্য।