গুয়াহাটি, ১৭ জুন (হি.স.) : চিন সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনা। এখানেই শেষ নয়, লাদাখ সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের ভারত-চিন সীমান্তেও জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট।
লাদাখের চিন-ভারত সীমান্ত বরাবর সংঘর্ষ হয়েছে মঙ্গলবার। এর পর আর ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর (এলএসি) পাঠানো হয়েছে সেনা জওয়ান। এই শেষ নয়, উজান অসমের ডিব্রুগড় জেলার অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তঘেঁষা মোহনবাড়িতে সোমবার থেকে অত্যাধুনিক বোয়িং সিএইচ-৪৭ শিনুক কপ্টার অবতরণ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
শিলঙে অবস্থিত ভারতীয় বায়ুসেনার মুখপাত্র উইং কমান্ডার রত্নাকর সিং এ কথা জানিয়ে বলেছেন, এই কপ্টার সেনা বাহিনীর জওয়ান সহ ভারী সমরাস্ত্র ও সামগ্রী এমন-কি যুদ্ধ ট্যাংকার বহনেও সক্ষম।
ভারতের সঙ্গে চিনের আন্তর্জাতিক সীমানা ৩,৪৮৮ কিলোমিটার। লাদাখ ছাড়াও হিমাচল প্রদেশ সীমান্ত, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অরুণাচল সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে বিবাদ ও বিতর্ক। লাদাখের গলবাল এলাকায় সংগঠিত সংঘর্ষের পর আর ঝুঁকি নেয়নি সরকার। অরুণাচল প্রদেশে চিন সীমান্ত বরাবর জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে সেনাকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে মধ্য অসমের তেজপুরের বায়ুসেনা ছাউনি ও ঘঁটিতেও। হিমাচল প্রদেশেও ইন্দো-তিব্বত সীমান্তে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট।
উইং কমান্ডার রত্নাকর সিং জানান, পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে বুধবার সকালে চিফ ডিফেন্স স্টাফের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও।
বায়ুসেনার শীর্ষ অফিসার সিং আরও জানান, সিএইচ-৪৭ শিনুক হেলিকপ্টার প্রায় ২২ হাজার পাউন্ড (১০,০০০ কিলো) সামগ্রী এবং ৫৫টি সম্পূর্ণ সশস্ত্র বাহিনী বহন করার ক্ষমতা রাখে। এ ধরনের আরেকটি চপার অরুণাচল প্রদশের চাংলাং জেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী বিজয়নগর সার্কলে মোতায়েন করা হয়েছে। ওই কপ্টারের সাহায্যে ইতিমধ্যে অরুণাচল প্রদেশের প্রত্যন্ত দুর্গম ১৬টি গ্রামের প্রায় ৪,৫০০ জন মানুষের জন্য খাদ্য সামগ্রী পরিবহণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের বিজয়নগরের অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডে অবতরণ করানো হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার এএন-৩২ যুদ্ধবিমান। এককথায় চিন সীমান্তে ভারতীয় সেনা শক্তি বাড়াতে ব্যাপক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছে।