নয়াদিল্লি, ১৭ জুন (হি. স.) : চিনকে পাল্টা প্রত্যাঘাত কিভাবে করা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সেনাবাহিনীর ওপর ছাড়লো কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার প্রতিরক্ষা বিষয়ক কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন দফায় দফায় তিন বাহিনীর প্রধান, সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।সোমবার গভীর রাতে চিনের হামলায় শহীদ হওয়া কর্নেল ও জওয়ানদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেনাবাহিনী তরফ থেকে।
সোমবার রাতে পূর্ব লাদাখের মূল নিয়ন্ত্রণরেখা গলওয়ান উপত্যকায় টহলরত ভারতীয় জওয়ানদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় ধূর্ত চীনা সেনা। দুই তরফের হাতাহাতিতে শহীদ হন কর্নেল সহ ২০ জন সেনা জওয়ান। ভারতের তরফ থেকে বাড়তি বাহিনী গিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।নিকেশ করা হয় ৪৩ চীনা জওয়ানকে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে টহলরত ভারতীয় জওয়ানদের ওপর প্রায় ৫০০ চিনা সেনা ঝাঁপিয়ে পড়ে। লোহার রড এবং সিমেন্টড রড দিয়ে আঘাত করা হয় ভারতীয় সেনা জওয়ানদের ওপর। ওদিন গভীর রাত পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে। এরপরই দু ‘ দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ বাড়তে থাকে। দুই তরফের এই সংঘর্ষের ছবি কৃত্রিম উপগ্রহ ছবিতে ধরা পড়েছে।চিনা সেনা সেদিন রাতে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। চিনের এই অতর্কিত হামলার পরও ভারত নিজেদের পোস্ট ধরে রাখতে সক্ষম হয়।
এদিন সেনাবাহিনী তরফ থেকে শহীদ হওয়া জওয়ান নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেসব সেনা জওয়ান শহীদ হয়েছেন তারা হলেন বিহার রেজিমেন্ট এর কর্নেল সন্তোষ বাবু, নায়েব সুবেদার সত্নাম সিংহ, মন্দীপ সিংহ, নন্দু রাম সোরেন, দীপক সিং,সেপাই কুন্দন কুমার, আমন কুমার, চন্দন কুমার, গণেশ হাসদা, গণেশ রাম, কে কে ওঝা, রাজেশ ওরাও, সি কে প্রধান, সুনীল কুমার, জয় কিশোর সিং। এম পি এস সি রেজিমেন্ট এর হাবিলদার বিপুল রায়।পাঞ্জাব রেজিমেন্টের সিপাই গুরুতেজ সিং, সিপাই অঙ্কুশ, সিপাই গুরুবিন্দ্রর সিং। ফিল্ড রেজিমেন্টে হাবিলদার কে পালানি।উল্লেখ করা যেতে পারে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে ভারতের ১২০ জন সেনা জওয়ান চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। ভারতীয় সেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে বড় বড় পাথর ছোড়া হয়।