নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/ তেলিয়ামুড়া/ বিলোনীয়া, ১৫ জুন৷৷ সোমবার সদর জেলা কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে সাত দফা দাবীর ভিত্তিতে প্রতিবাদ ও ডেপুটেশন প্রদান কর্মসূচী পালন করা হয়৷ এদিন কংগ্রেস ভবনের সামনে প্রতীবাদ কর্মসূচীতে সামিল হন কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা৷ রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই এই কর্মসূচী সংগঠিত করা হয় বলে জানান পিসিসি-র অস্থায়ী সভাপতি পীযুষ বিশ্বাস৷ গরীব না বাঁচলে শিল্প প্রতিষ্ঠান চলবে না৷ তাই তাদের বাঁচাতে হবে৷ শিল্প গোষ্ঠীকে কেবল প্রধান্য দিলে চলবে না৷ এই বিষয়ে জানান পিসিসি-র অস্থায়ী সভাপতি পীযুষ বিশ্বাস৷ তাদের দাবি গুলিকে বাস্তবায়িত করার দাবি জানান তিনি৷
৭ দফা দাবির ভিত্তিতে সমগ্র রাজ্যের পাশাপাশি আমবাসায় জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগেও নিরব কর্মসূচী পালন করা হয়৷ একই সাথে জেলা শাসকের নিকট ডেপুটেশন প্রদান করা হয়৷ সোমবার দুপুরে আমবাসা কংগ্রেস ভবনের সামনে জনগণের স্বার্থে ৭ দফা দাবি নিয়ে ১ ঘন্টা নীরবতা পালন করে কংগ্রেসের কর্মীরা৷ তাদের দাবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি হলো, রেগার কাজ ২০০ দিন করা, বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা লোকদের করোনা পরীক্ষা করা, প্রতিমাসে ৭ হাজার ৫০০ টাকা করে গরিব অংশের মানুষদের প্রদান করা ইত্যাদি৷ এক ঘন্টা নীরব আন্দোলন কর্মসূচী শেষে জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেলা শাসকের নিকট ডেপুটেশন প্রদান করা হয়৷ উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মানিক দেব, আমবাসা ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি কৃপেশ রায় সহ অন্যান্যরা৷
এদিকে, এম জি এন রেগা কাজ বছরে ২০০ দিন করা, বহি রাজ্য থেকে ফেরত সকলকে সোয়েব টেস্ট করা, গরীব এবং শ্রমিক অংশের পরিবারে প্রথম মাসে ১০,০০০ টাকা এবং পরবর্তী ৫ মাস ৭,৫০০ টাকা করে অনুদান প্রদান করার দাবি সহ ৭ দফা দাবিতে সোমবার সদর জেলা কংগ্রেস কমিটি প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সামনে এক কর্মসূচি পালন করে৷
উপস্থিত প্রদেশ অস্থায়ী সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস জানান, দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভুল সিদ্ধান্তের ফলে বর্তমানে দেশ আর্থিক সংকটে ভুগছে৷ বহু পরিযায়ী শ্রমিককে বাড়ি ফিরতে সঠিক কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে বহু শ্রমিকের পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে প্রাণহানি হয়েছে৷ জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্ব রাহুল গান্ধীর দাবিগুলি সরকার যদি বাস্তবায়িত করে তাহলে হয়তো দেশে গরিব অংশে মানুষ বিশেষ করে দেশ নির্মাতা শ্রমিক অংশের মানুষ পুনরায় বাঁচায় অনুসন্ধান পাবে৷
কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের আগামী দিনে দেশে পুঁজিপতিরা এবং শিল্পপতিরা আরো শক্তিশালী হবে, আর গরিব মানুষের মৃত্যুবরণ ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন৷ তাই সোমবার গোটা রাজ্যে জেলাভিত্তিক সাত দফা দাবির ভিত্তিতে কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে৷ যাতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস নেতৃত্ব রহুল গন্ধির দাবিগুলি বাস্তবায়িত করেন৷ নয়তো আগামী দিনে এ ধরনের কর্মসূচি ব্লক ভিত্তিক নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান তিনি৷
কোয়ারেন্টাইনে থাকা সমস্ত লোকদের খাওয়া-দাওয়া সহ তাদের সুযোগ-সুবিধা, সুকলে পড়াশোনার অবস্থা খুবই দুরবস্থা৷ লক ডাউনে শ্রমিকদের পরিবারকে ৭৫০০ টাকা প্রদান সহ মোট ৭ দফা দাবিতে সারা রাজ্যের সাথে বিলোনিয়াতেও কংগ্রেস ভবনের সামনে নীরব প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়৷ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুকে প্লেকার্ড লাগিয়ে কংগ্রেস কর্মীরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করলেও, দলীয় কার্যালয়ের সামনেই পুলিশ গতিরোধ করে৷ এবং অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই দলীয় অফিসে ঢুকিয়ে দেয় কর্মীদের৷ আজকের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মহিলা কংগ্রেস নেতৃ লক্ষ্মী নাগ, যুব কংগ্রেস সভাপতি পূজন বিশ্বাস, প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ চৌধুরী, ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অরূপ দেব, সহ আরও অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃত্বরা৷ লক্ষ্মী নাগ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরম অবস্থায় আছে৷ এর জন্য একমাত্র দায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ উনার ভুল সিদ্ধান্তের ফলে ভারতবর্ষের এই অবস্থা৷

