হাফলং (অসম), ১৪ জুন (হি.স.) : সচল হয়ে উঠেনি লামডিং-বদরপুর পাহাড়ের রেলপথ। রবিবারও চলেনি পরীক্ষামূলক ভাবে ইঞ্জিন। মুপা ও মাইবাঙের মধ্যে ট্র্যাক লিঙ্কিয়ের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। এখনও ৬০ থেকে ৭০ মিটার অংশে ট্র্যাক বসানোর কাজ বাকি। সোমবারের মধ্যে মুপা ও মাইবাঙের মধ্যবর্তী এলাকায় ট্র্যাক বসানোর কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার পরই পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথমে চালানো হবে লাইট ইঞ্জিন এবং পরে পরীক্ষামূলক ভাবে চলবে পণ্যাবাহী ট্রেন। এর পর যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তা হলে চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন।
শনিবার থেকে মুপা ও মাইবাঙের মধ্যবর্তী ৫৭/০ এবং ৫৭/২ কিলোমিটার ধস-বিধ্বস্ত এলাকায় আগের জায়গা থেকে প্রায় ৩০ মিটার সরিয়ে ১৮০ মিটার এলাকা জুড় নতুন করে রেলওয়ে ট্র্যাক বসানো হচ্ছে। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় ৬০ থেকে ৭০ মিটার রেল লাইন বসানোর কাজ এখনও বাকি। মুপায় ধস বিধ্বস্ত এলাকায় কর্তব্যরত জনৈক রেলকর্মী জানিয়েছেন, কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গতকাল রাতে ফের বৃষ্টি হওয়ার দরুন রেলওয়ে ট্র্যাক বসানোর জন্য যে মাটি ভরাট করা হয়েছিল সেই জায়গার মাটি আবার ধসে পড়ায় কাজ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। তবে সোমবারের মধ্যে ট্র্যাক লিঙ্কিঙের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন তিনি। কারণ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আগরতলা থেকে আনন্দবিহারের উদ্দেশে রাজধানী এক্সপ্রেস রওয়ানা হবে বলে ইতিমধ্যে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের সিনিয়র জনসংযোগ আধিকারিক নৃপেন্দ্র ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ১৬ জুন থেকে পাহাড় লাইনে পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হবে। তাই রেলের পক্ষ থেকে রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের জন্য সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। নৃপেন্দ্র ভট্টাচার্য এ-ও বলেন, যদি আবহওয়া অনুকূলে থাকে মানে, আগামী দুদিন যদি বৃষ্টি না হয় তা হলে সোমবারের মধ্যে ট্র্যাক লিঙ্কিঙের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে এবং ১৬ জুন থেকে লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইনে পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। তবে সব কিছইু নির্ভর করবে আবহওয়ার উপর, জানিয়েছেন নৃপেন্দ্র ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য, গত ১ জুন প্রচণ্ড বৃষ্টির জেরে মুপা ও মাইবাঙের মধ্যবর্তী ৫৭/০ এবং ৫৭/২ কিলোমিটার অংশে ধস নেমে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বৃষ্টির দরুন পাহাড় থেকে নেমে আসা জলের স্রোত এবং মাটি ধসে প্রায় ৮০ মিটার এলাকা জুড়ে রেলওয়ে ট্র্যাকের নীচের মাটি ধুয়ে নিয়ে গেছে। পাশাপাশি ১৫০ মিটার এলাকা জুড়ে রেলওয়ে ট্র্যাক সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ফলে গত ১৪ দিন থেকে পাহাড় লাইনে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।