নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ জুন৷৷ চেন্নাই থেকে রাজ্যে ফিরে আসা আরও ৩৮ জনের দেহে করোনার সন্ধান মিলেছে৷ সোমবার মোট ১৪৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাতে ৩৮ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে৷ আক্রান্তরা সবাই সিপাহীজলা জেলার বাসিন্দা৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা দিয়েছেন৷ এই জেলাতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩০৷ এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ জন৷ জেলার সোনামড়া মহকুমায় আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক৷
এদিকে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪১ জন৷ তার মধ্যে সক্রিয় আছেন ৬৪৯ জন৷ সুস্থ হয়েছেন ১৯২ জন৷ জেলা ভিত্তিক হিসেবে দেখা গিয়েছে, পশ্চিম জেলায় আক্রান্ত ৬২ জন, সুস্থ হয়েছেন ১ জন এবং অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে ১ জনের৷ সিপাহীজলা জেলায় আক্রান্ত ৩৩০ জন, সুস্থ হয়েছেন ৫ জন, খোয়াই জেলায় আক্রান্ত ২৬ জন, সুস্থ হয়েছেন ৪ জন৷ গোমতী জেলায় আক্রান্ত ৯২ জন, সুস্থ হয়েছেন ৫ জন এবং বহিঃরাজ্যে আছেন ১ জন৷ দক্ষিণ জেলায় আক্রান্ত ৬৮ জন, সুস্থ হয়েছেন ২ জন, ধলাই জেলায় আক্রান্ত ১৯৯ জন, সুস্থ হয়েছেন ১৬৪ জন, ঊণকোটি জেলায় আক্রান্ত ৫০ জন, সুস্থ হয়েছেন ১ জন এবং উত্তর জেলায় আক্রান্ত ১৪জন, সুস্থ হয়েছেন ৪ জন ও বহিঃরাজ্যে আছেন ১ জন৷
প্রসঙ্গত, রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের মধ্যে সিপাহীজলা জেলায় রয়েছে এক তৃতীয়াংশেরও বেশী৷ তারমধে বেশী সোনামুড়া মহকুমার৷ কোভিড ১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমণে অতি স্পর্শকাতর এলাকায় পরিণত হলো সোনামুড়া৷ রাজ্যের ৮৪১ এর মধ্যে ৩৩১ জনই সিপাহীজলা জেলার৷ এর মধ্যে দুশো ষাট জনেরও বেশী সোনামুড়ার লোক৷ রাজ্যের প্রায় ত্রিশ শতাংশ এবং জেলার আটাত্তর শতাংশ পজিটিভ করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া যায় এই প্রান্তিক মহকুমায়৷ তেরটি হাসপাতালের মধ্যে প্রতিটিতেই গড়ে কুড়ি জন করে রোগী সনাক্ত করা হয়েছে৷ দুই তিন জন বাদে বাকি সবাই বহিঃরাজ্য থেকে আসা শ্রমিক এবং রোগী কিংবা রোগীর সহযাত্রী৷
বহিঃরাজ্য থেকে আসা লোকদের আরও প্রায় সত্তর শতাংশ এখনো পরীক্ষার বাইরে রয়ে গেছে৷ পরিবারের লোকদের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে তাদের অনেকের৷ সবার পরীক্ষা নিরীক্ষা হলে সোনামুড়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকবে এনিয়ে জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে মেলাঘর সাগর মহলেও পঞ্চাশ শয্যার কোভিড কেয়ার সেন্টার খোলা হয়েছে৷
