নয়াদিল্লি, ৭ জুন (হি. স.): পূর্ব লাদাখে মূল নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা প্রশমনে ভারত-চিন সৌহার্দ্য পূর্ণ বৈঠকে ভারতীয় সেনার তরফ থেকে এই বৈঠকের নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দ্রর সিং তিনি চিনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে সীমান্তে পরিকাঠামো গত উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে ভারত।অবিলম্বে সেই জায়গা থেকে চিনা সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রবিবার এমনটাই জানাল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক।
শনিবার শীর্ষ সামরিক পর্যায় দুই দেশের বৈঠক হয়।ভারতীয় সেনার তরফ থেকে এই বৈঠকের নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দ্রর সিং। অন্যদিকে চিনা সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল লিয়ু লিন বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল সেই তথ্য সেনাবাহিনী না বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।ওয়াকিবহাল মহলের মতে এই বিষয়ে বিবৃতি জারি করা উচিত ছিল সেনা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। কিন্তু আবার অনেকের দাবি পাকিস্তান নিয়ে কিছু বলার থাকলে সেটা সেনাবাহিনী বলে আবার চিনের প্রসঙ্গে কিছু বলার থাকলে সেটা বিদেশ মন্ত্রক জানায়। শনিবারে চিনের সঙ্গে বৈঠকের পরে সেনাবাহিনীর কাছে বিস্তৃতি রিপোর্ট জমা দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দ্রর সিং। ওই রিপোর্ট বিদেশ মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়। শনিবার কিছু না বলে রবিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে “বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী দুই পক্ষ সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে।” সৌহার্দ্য পূর্ণ এই বৈঠকে হরিন্দ্রর সিং চিনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে সীমান্তে পরিকাঠামো গত উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে ভারত।অবিলম্বে সেই জায়গা থেকে চিনা সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।চলতি বছরের এপ্রিলের আগের পরিস্থিতিতে নিয়ে যেতে হবে।
অন্যদিকে, চিন গলবন এবং পেগোং স্ত কে বিতর্কিত এলাকা বলে অভিহিত করেছে। কিন্তু ভারত ওই অঞ্চল থেকে চীনা সেনাকে সরে যেতে বলে। উল্লেখ করা যেতে পারে এর আগের বৈঠকগুলিতে সামান্য কয়েকটি ক্ষেত্রে ঐক্যমত্যে পৌঁছলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা বাস্তবায়িত করেনি চিন ।