BRAKING NEWS

শুধুমাত্র দিল্লির বাসিন্দাদের জন্যই উন্মুক্ত হাসপাতাল, নির্দেশ কেজরিওয়ালের

নয়াদিল্লি, ৭ জুন (হি. স.):  কেন্দ্রীয় হাসপাতাল বাদে রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতলে শুধুমাত্র দিল্লিবাসীরাই চিকিৎসা করানোর অগ্রাধিকার পাবে। দিল্লিতে অন্য রাজ্য থেকে আসা মানুষরা এই সুবিধা পাবে না বলে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

রবিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, যে সকল রোগের চিকিৎসা শুধুমাত্র দিল্লিতেই সম্ভব তা ব্যতীত অন্যান্য রোগের চিকিৎসা পরিষেবা ভিন রাজ্য থেকে আসা মানুষদের দেওয়া হবে না। রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে এই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।রেস্তোরাঁ, শপিংমল এবং ধর্মীয় স্থান খোলা থাকলেও বন্ধ থাকবে হোটেল এবং ব্যাঙ্কুয়েট হল। আগামী দিনে জরুরি পরিস্থিতিতে এই সকল হোটেল এবং ব্যাঙ্কুয়েট হলগুলিকেও হাসপাতালে পরিণত করা হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দিল্লির হাসপাতালগুলিতে শুধুমাত্র দিল্লিবাসীদের চিকিৎসা হবে। কিন্তু দিল্লিতে থাকা কেন্দ্রীয় সরকারের হাসপাতালগুলিতে অন্যান্য রাজ্যের মানুষরা চিকিৎসা করাতে পারবে। কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হাসপাতালগুলিতে ১০ হাজার শয্যা রয়েছে। দিল্লি সরকারের হাসপাতালগুলোতেও সমসংখ্যক শয্যা রয়েছে। এতে করে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভারসাম্য রাখা যাবে।

রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দেখভালের জন্য পাঁচ সদস্যের যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল।সেই কমিটির সিংহভাগ সদস্যই প্রশাসনকে জানিয়েছে যে দিল্লির হাসপাতালগুলিতে প্রথম অধিকার এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদেরই। কমিটির সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েই এই ঘোষণা করল দিল্লি সরকার। এই বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৯০ শতাংশ দিল্লিবাসী এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। কারণ সাধারণ সময় ভিন রাজ্য থেকে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ দিল্লিতে চিকিৎসা করাতে আসে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনটা হলে রাজ্যের স্বাস্থ্যপরিষেবা ভেঙে পড়বে। চলতি মাসের শেষের দিকে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আরও ১৫ হাজার শয্যা দিল্লিতে প্রয়োজন হবে।

এদিন প্রবীণ নাগরিকদের সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। লকডাউন উঠে গেলেও অরুণাচল কোন নির্মূল হয়নি তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *