মধুপুর থানায় সহকর্মীর সাথে ডিউটি নিয়ে বিবাদ সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি ছুড়ল কনস্টেবল

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ৩ জুন৷৷ ডিউটি নিয়ে বাক বিতন্ডা৷ মধুপুর থানার সেন্ট্রি ডিউটিতে থাকা অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবল আচমকা বন্দুক উঁচিয়ে থানার মধ্যে দুই রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে দেয়৷ ঘটনাটিকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে থানার অভ্যন্তরে৷ জানা যায়, বিশ্বজিৎ দাশগুপ্ত নামে এক পুলিশ কনস্টেবল মঙ্গলবার রাত দশটা থেকে সেন্ট্রি ডিউটিতে ছিলেন৷ তখন থানার অভ্যন্তরে এএসআই ধ্রুব রঞ্জন গুহ এর সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়৷


প্রসঙ্গত, এই দিনেই করোনা আতঙ্কে এই থানার ১০ জন পুলিশকর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই থানায় পুলিশ কর্মীর সংখ্যা কমে যায়৷ তার উপরে এদিনই দুপুরবেলা মধুপুর থানাধীন অরবিন্দ নগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের একটি পুকুরে অপরিচিত পচাগলা লাশ উদ্ধার করা হয়৷ রাতের বেলা লাশটিকে ঘটনাস্থল থেকে কোথাও নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেনি প্রশাসন৷ ফলে এই লাশটির কাছেই থানার কয়েকজন পুলিশ সারারাত পাহারা দেওয়ার জন্য ডিউটিতে নিযুক্ত করা হয়৷ স্বভাবতই বাকি যে সকল পুলিশকর্মী এই থানায় অবশিষ্ট রয়েছেন তাদের ওপর একটা বাড়তি চাপ রয়েছে৷ একদিকে করোনা আতঙ্ক, পরিবার আত্মীয় পরিজন থেকে ফোনের পর ফোন৷


কারণ রাজ্যজুড়ে প্রচার চলছিল মধুপুর থানার পুলিশও ভয়ঙ্কর করুণায় সংক্রমিত হতে পারেন৷ সবকিছু মিলিয়ে রাত দশটা থেকে সেন্ট্রি ডিউটির দায়িত্ব পান বিশ্বজিৎ দাশগুপ্ত৷ ডিউটি নিয়ে থানার অভ্যন্তরেই সামান্য বাক-বিতণ্ডা হয়৷ অন ডিউটি থাকা অবস্থায় সেন্ট্রি বিশ্বজিৎ দাশগুপ্ত তাঁর সার্ভিস রাইফেল থেকে শূন্যে গুলি ছুড়ে দেন৷ সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে থানার অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে৷ রাত বারোটার সময় তাকে থানা থেকে ক্লোজ করে বিশালগড় মহকুমার পুলিশ আধিকারিক এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷


সূত্র মারফত জানা যায় বিশ্বজিৎ দাশগুপ্ত প্রায় সময়ই মদমত্ত অবস্থায় থাকেন৷ মদ মত্ত অবস্থায় ডিউটি করতে গিয়ে এর আগেও কয়েকবার ঝামেলায় জড়িয়েছেন বলে খবর৷ গতকালও আকন্ঠ মদ্যপান করে ডিউটিতে গিয়েছিল সে, এমনই অভিযোগ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা যায় শুধু গতকালই নয় এর আগেও অনেক অভিযোগ তার নামে করা হয়েছিল৷ বর্তমানে ওই কনস্টেবলকে সিপাহীজলা জেলার পুলিশ সুপারের অফিসে নিয়ে রাখা হয়েছে৷