নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম,২৮ মে৷৷ দুই ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতনিদের মারে আহত ৮০ বছরের বৃদ্ধা মা৷ প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় থানায় মামলা৷ ঘটনা বুধবার দুপুরে বিশালগড় থানাধীনকড়ুইমুড়ায়৷
দুই ছেলেই সরকারি চাকরি করেন৷ বাড়িতে বড় বড় প্রাসাদসম অট্টালিকা৷ বিল্ডিং ঘরের এত সুন্দর রুমে জায়গা হয় না বৃদ্ধা মার৷ সরকারি চাকরিজীবী দুই ছেলে হুমায়ুন মিয়া ও সোলেমান মিয়া৷ বাড়ি বিশালগড় থানাধীন কড়ুইমুড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় সংলগ্ণ মাদ্রাসা পাড়ায়৷ বড় ছেলে হুমায়ন পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত৷ ছোট ছেলে সোলেমান সরকারী মাদ্রাসা শিক্ষক৷ তাদের বাবা রোশন মুল্লা এলাকায় সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন৷ অনেক কষ্ট করে ছেলেদের পড়াশোনা শিখিয়েছেন৷ হয়তো ভেবেছিলেন ছেলেরা বড় হয়ে শিক্ষিত হয়ে সরকারি চাকরি করে মা-বাবাদের সুখে রাখবেন৷
নিজেদের ভবিষ্যতের সুখের কথা ভেবে ছেলেদের শিক্ষিত করতে অনেক পরিশ্রম করেছেন৷ দীর্ঘদিন আগেই রোশন মোল্লা প্রয়াত হয়েছেন৷ বেঁচে রয়েছেন উনার স্ত্রী জবেদা খাতুন৷ বর্তমানে জবেদা খাতুন এর থাকার ঠিকানা হলো ছোট্ট একটি কুঁড়ে ঘরে৷ ছোট ছেলের উঠানেই একটি ছোট্ট ঘরে এই বয়সেও নিজেই নিজের কাজ করে চলতে হচ্ছে৷ ছেলেদের বিল্ডিং ঘরে মায়ের প্রবেশ নিষেধ৷ বুধবার বড় ছেলের বাড়িতে লাঠি ভর করে যেতে দেখে ছেলের বউ এবং নাতনীরা বেদম ভাবে মারতে থাকে তাকে৷
অভিযোগ ঈদের নিমন্ত্রনে ভালো ভালো মানুষ তাদের বাড়িতে আসবে৷ এই সময়ে কেন তাদের বাড়ীতে পা রাখল বৃদ্ধা মা৷ তাদের পরিবারের মান-সম্মান নাকি চলে যাবে৷ ঈদের উৎসবে বড় ছেলের দুই বিবাহিত মেয়ে বেড়াতে এসেছিলেন৷ মা ও দুই মেয়ে মিলে প্রচন্ডভাবে মেরে মাটিতে ফেলে দেয় বৃদ্ধা মহিলাকে৷ প্রতিবেশীরা ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে মহিলাকে নিয়ে থানায় হাজির হন৷ বিশালগড় মহিলা থানায় গিয়ে এই বৃদ্ধা মা পুলিশের সামনে কাঁদতে থাকেন৷ সঠিকভাবে সব কিছু বলতেও পারছেন না৷ বড় ছেলের ২ মেয়ে পিংকি ও প্রিয়াংকা৷ দুজনের স্বামী সরকারি চাকরি করেন৷ এলাকাবাসীর দাবি এই সমস্ত কুলাঙ্গার মেয়ে ও পুত্রবধূদের যেন উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করেন প্রশাসন৷